মর্যাদার লড়াইয়ে মৌসুম শুরু মোহামেডান-আবাহনীর
ঘরোয়া ফুটবলের যে কোনো টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি মোহামেডান ও আবাহনী-দর্শকরা এক সময় এটা দেখেই অভ্যস্ত ছিল; কিন্তু এখন সেই দৃশ্য অতীত। লিগের দুই পর্বে দুইবার দেখা- এর বেশি মৌসুমে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দলদ্বয়ের খেলা কমই দেখতে পায় মানুষ। মোহামেডান-আবাহনীর দ্বৈরথও নেই আগের মতো।
২০২০-২১ ফুটবল মৌসুমটা অবশ্য দর্শকদের প্রথমেই দিচ্ছে সাদা-কালো আর আকাশী-নীলদের লড়াইয়ের স্বাদ। ফেডারেশন কাপ ফুটবলের তৃতীয় দিনে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল। মর্যাদার লড়াইটা শুরুতেই শেষ করতে যাচ্ছে তারা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায়। বেসকারী টিভি চ্যানেল টি-স্পোর্টস ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
‘ডি’ গ্রুপের এই ম্যাচের ফলটাই আভাস দেবে মৌসুমটা কেমন যাবে কোন দলের। শুরুতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারানোর তৃপ্তি নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাসে বাড়তি জ্বালানি যোগ করবে জয়ী দলকে। সে দলটি কারা?
ফেডারেশন কাপে দর্শকরা অনেকদিন দেখে না মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচ। ২০১৩ সালের গ্রুপপর্বে দেখা হয়েছিল দুই দলের। ম্যাচটি আবাহনী জিতেছিল ২-০ ব্যবধানে। ৭ বছর পর সাক্ষাতে কে জিতবে? কোন দলের বৃহস্পতি উঠবে তুঙ্গে?
আবাহনী ফেডারেশন কাপ জিতেছে ১১ বার। মোহামেডানের নামের পাশে ১০। শেষবার মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ২০০৯ সালে। এরপর আর ফাইনালেই উঠতে পারেনি দেশের ঐতিহ্যবাহী দলটি। সর্বশেষ গত বছর উঠেছিল সেমিফাইনালে। রহমতগঞ্জের কাছে হেরে বিদায় নেয় তারা। আবাহনীও এই রহমতগজ্ঞের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে।
ফুটবলে দুই দলের সর্বশেষ দেখা হয়েছিল পরিত্যক্ত হওয়া গত লিগের প্রথম পর্বে। সাদা-কালোদের ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল আকাশী-নীলরা। মোহামেডান কি পারবে ফেডারেশন কাপ ও লিগের সর্বশেষ দুই হারের প্রতিশোধ নিতে? নাকি আবাহনী ধরে রাখবে জয়ের ধারা? উত্তর মিলবে বৃহস্পতিবার রাতে।
১১ বছর মোহামেডান কোনো ট্রফি জিততে না পারলেও দীর্ঘ এই প্রায় একযুগে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নসহ আবাহনী ফেডারেশন কাপের শিরোপা ঘরে নিয়েছে চারবার। গত ফেডারেশন কাপে ট্রফি হাতছাড়া করা আবাহনীর সামনে সেটা ফিরিয়ে আনার লড়াই। মোহামেডানের লড়াই ভুলে যাওয়া ট্রফি ঘরে নেয়ার। লক্ষ্যে পৌঁছাতে দুই দলেরই চাই দারুণ একটা সূচনা। সেটা আজীবন প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে। দেখা যায় মর্যাদার সে লড়াইয়ে কে হাসে শেষ হাসি।
আরআই/আইএইচএস/এমএস