৭৫০ গোলের চূড়ায় রোনালদো
চলতি আসরের উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে 'জি' গ্রুপের লড়াই অনেকটাই পানসে হয়ে গেছে দুই ফেবারিট দল বার্সেলোনা ও জুভেন্টাসের আধিপত্যে। একের পর এক ম্যাচ জিতেই চলেছে এ দুই দল আর হেরেই যাচ্ছে তলানির দুই দল ডায়নামো কিয়েভ ও ফেরেঙ্কভারোস। ফলে চার ম্যাচ শেষেই ঠিক হয়ে যায় যে জুভেন্টাস ও বার্সেলোনাই যাচ্ছে শেষ ষোলোতে।
পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচেও জিতেছে এ দুই দল। ফেরেঙ্কভারোসের মাঠ থেকে ৩-০ গোলে জিতে ফিরেছে বার্সেলোনা। একই ব্যবধানে নিজেদের ঘরের মাঠে ডায়নামো কিয়েভকে হারিয়েছে জুভেন্টাস। পাঁচ ম্যাচে বার্সেলোনার জয় পাঁচটিতে, জুভেন্টাস জিতেছে চার ম্যাচে। শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে এ দুই দল।
ডায়নামোর বিপক্ষে জুভেন্টাসের জয়ে গোল তিনটি করেছেন ফেডরিখ চিয়েসা, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং আলভারো মোরাতা। ম্যাচের ২১ মিনিটের সময় প্রথম গোলটি করেন চিয়েসা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৫৭ মিনিটের সময় রোনালদো এবং ৬৬ মিনিটে শেষ গোলটি করেন মোরাতা।
চ্যাম্পিয়নস লিগে ডায়নামো কিয়েভের বিপক্ষে রোনালদোর সবশেষ গোলটি ছিল ২০০৭ সালের নভেম্বরে। পাক্কা ১৩ বছর ২৫ দিন পর ফের এ দলের বিপক্ষে গোল করলেন রোনালদো। যা কি না নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়ের জন্য নির্দিষ্ট দলের বিপক্ষে দুই গোলের মাঝে সবচেয়ে বেশি সময়ের বিরতির রেকর্ড।
তবে এ গোলটির মাধ্যমে দারুণ এক মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছেন রোনালদো। এটি ছিল তার পেশাদার ক্যারিয়ারের ৭৫০তম গোল। ২০০২ স্পোর্টিং সিপি দিয়ে শুরু, এরপর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস ও পর্তুগাল জাতীয় দল মিলে মোট ৭৫০ গোল পূরণ হলো রোনালদোর।
এ মাইলফলক ছুঁতে তিনি খেলেছেন ১০৩০ ম্যাচ। স্পোর্টিং সিপির হয়ে ৫, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ১১৮, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৪৫০, জুভেন্টাসের হয়ে ৭৫ ও পর্তুগালের হয়ে ১০২ গোল করে এই ৭৫০ গোলের চূড়ায় উঠলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমানে খেলে যাওয়া ফুটবলারদের মধ্যে তিনিই সর্বোচ্চ গোলস্কোরার।
এসএএস/পিআর