ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়ার ৬ গোলের ম্যাচে ফিরে এলো ‘বিশ্বকাপ ফাইনাল’
মঙ্গলবার রাতে উয়েফা নেশনস লিগের ‘এ’ লিগের গ্রুপ থ্রি’র ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সবশেষ ফুটবল বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচে স্বাগতিক ফ্রান্সের সঙ্গে সমানে সমান লড়াই করেও জিততে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ফলাফলে ফিরে এসেছে বছর দুয়েক আগেই সেই ফাইনাল ম্যাচটিই।
নিজেদের ঘরের মাঠ স্ট্যাড ডি ফ্রান্সে ৪-২ গোলের সহজ জয় পেয়েছে ফ্রান্স। যেমনটা তারা জিতেছিল ২০১৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচে। সে ম্যাচের সঙ্গে শুধু যে ফলাফলেই মিল রয়েছে উয়েফা নেশনস কাপের ম্যাচটির, এমনটা নয়। বরং মিলে গেছে আরও কিছু বিষয়।
২০১৮ সালের ১৫ জুলাইয়ের সেই ফাইনাল ম্যাচে ফ্রান্সের মোট ৪ গোলের একটি ছিলো আত্মঘাতী গোল, ম্যাচের ১৮ মিনিটে সেটি করেছিলেন মারিও মানজুকিচ। দুই বছর পরের ম্যাচেও হয়েছে আত্মঘাতী গোল, এবার প্রথমার্ধের অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে সেটি করেছেন ডমিনিক লিভাকোভিচ।
বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাচের ৩৮ মিনিটের সময় পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন ফ্রান্সের অ্যান্তনিও গ্রিজম্যান। দুই বছর পর ম্যাচের ৭৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল পেয়েছেন আরেক ফরোয়ার্ড অলিভার জিরুদ। এখানেই শেষ নয় দুই ম্যাচের মিল।
সেই ফাইনালে ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে প্রথমার্ধে ইভান পেরিসিচ ও দ্বিতীয়ার্ধে মারিও মানজুকিচ গোল করেছিলেন। দুই বছর পরও ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে ম্যাচের ১৬ মিনিটে দেজান লভরেন ও ৫৫ মিনিটে জোসিপ ব্রেকালো গোল করেছেন। অর্থাৎ সেবারের মতো এবারও প্রথমার্ধে এক ও দ্বিতীয়ার্ধে এক গোল করেছে ক্রোয়াটরা।
এমনকি মিলে গেছে ফ্রান্সের গোলের সময়ও। ফাইনাল ম্যাচের প্রথমার্ধে তারা করেছিল দুই গোল ও দ্বিতীয়ার্ধে করেছিল বাকি দুইটি। এবার নেশনস কাপের ম্যাচেও প্রথমার্ধে দুই গোলের পর, দ্বিতীয়ার্ধে তারা করেছে আরও দুই গোল।
বিশ্বকাপ ফাইনালের সঙ্গে এত মিল থাকা ম্যাচ জিতেও অবশ্য টেবিলের শীর্ষস্থান পায়নি ফ্রান্স। দুই ম্যাচে পূরণ ৬ পয়েন্ট পেলেও, গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় দুই নম্বরে রয়েছে তারা। শীর্ষে রয়েছে দুই ম্যাচে ৬ গোল করে ৬ পয়েন্ট পাওয়া ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল।
এসএএস/জেআইএম