অঝোর ধারায় কাঁদলেন নেইমার
রাতটা কোনোভাবেই নেইমারের ছিল না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে খেলার সঙ্গে ভাগ্যেরও সহায়তা লাগে। সেই সহায়তাটাই শেষ পর্যন্ত পেলেন না নেইমার অ্যান্ড কোং। দুর্দান্ত দাপট দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ষষ্ঠবারের মত জিতে নিলো বায়ার্ন মিউনিখ। বিপরীতে ইতিহাস গড়া হলো না ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজির।
ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে না পারা এবং ম্যাচের মধ্যে যে কয়টি সুযোগ পেয়েছিলেন, সেগুলোও ঠিকমত কাজে লাগাতে না পারার দুঃখ-বেদনায় পুড়েছেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার ডি সিলভা জুনিয়র।
মোট কথা, শেষ পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার নেইমার। সেই ব্যর্থতা তার হৃদয়-মন ছুঁয়ে গেছে। ম্যাচ শেষে এগুলো কাঁটার মত বিঁধছিল তার হৃদয়ে। যে কারণে, ফাইনালের পর অঝোর ধারায় কাঁদলেন নেইমার।
দুঃখ-ভারাক্রান্ত হয়ে ভেঙে পড়ার কারণে বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হান্সি ফ্লিক পর্যন্ত এসে নেইমারকে জড়িয়ে ধরে স্বান্তনা দিতে দেখা গেছে।
২০১৭ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে নেইমারের পিএসজিতে যোগ দেয়ার অন্যতম বড় কারণ ছিল, এককভাবে একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করা। সেই থেকে টানা তিনবার তিনি ব্যর্থ হন। চতুর্থবার এসে দলকে তুলে আনতে সক্ষম হলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। এবার ছিল তার সামনে স্বর্ণালি সুযোগ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন।
ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর যখন ডাগআউটে গিয়ে বেঞ্চে বসলেন নেইমার, তখন দেখা গেলো চোখের পানি আটকাতে পারছেন না তিনি। অঝোর ধারায় তার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে আসছে।
এরপর পুরস্কার বিতরণের সময়ও দেখা গেছে দুঃখ-ভারাক্রান্ত নেইমারকে। ওই সময়ও চোখের পানি লুকাতে দেখা গেছে তাকে। যে কারণে পিএসজি কোচ টমাস টুখেল এবং ক্লাব মালিক নাসের আল খেলাইফিকে দেখা গেছে নেইমারকে স্বান্তনা দিতে।
ফাইনালের প্রথমার্ধেই, ম্যাচের একেবারে শুরুর দিকে দেখা গেছে, নেইমার একেবারে ওয়ান-টু-ওয়ান বল পেয়ে গিয়েছিলেন গোলের। কিন্তু তার শটটি অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়ার। এরপর পুরো ম্যাচেই এমবাপে, ডি মারিয়া, মার্কুইনহোসদের দিয়ে অনেকবার গোল করার জন্য বল তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বায়ার্নের জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন সবাই।
আইএইচএস/পিআর