‘দর্শকবিহীন ম্যাচ হলে তা হবে আমাদের জন্য হতাশার’
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যে চারটি ম্যাচ বাকি বাংলাদেশের, তিনটিই ঘরের মাঠে। এর মধ্যে আছে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচও। তৃতীয়বারের মতো নিয়োগ পাওয়া ইংলিশ কোচ জেমি ডে বরারবরই বলে আসছেন, বাকি ম্যাচগুলো থেকে কিছু পয়েন্ট পাওয়া লক্ষ্য তার। একটি জয় পেলে সেটা হবে দারুণ।
তবে কোচ এখনো নিশ্চিত নন যে, অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচগুলোতে ফিফা দর্শক আসার অনুমতি দেবে কি না। যদি না দেয়, সেটা চরম হতাশার হবে বলে ফিফার ওয়েবসাইটে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন বাংলাদেশ কোচ।
‘আগের ম্যাচগুলোতে দর্শকরা আমাদের দারুণভাবে উজ্জীবিত করেছে। এখন আমাদের তিনটি ম্যাচ যদি দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলতে হয়, তা হবে দুর্ভাগ্যের। কারণ, হোম ম্যাচের অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো দর্শক সমর্থন, সেটা আমরা মিস করবো’-বলেছেন বাংলাদেশ কোচ।
জাগো নিউজ থেকে কোচের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা হতে পারে এ আশঙ্কা কেন করছেন? এমন কোনো সিদ্ধান্ত কি ফিফার আছে? জেমি ডে বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, ফিফা ওই সময় গ্যালারিতে দর্শক ঢোকার অনুমতি দেবে। কারণ, আমাদের দেশে (ইংল্যান্ডে) প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয়েছে বেশ আগে। কিন্তু আগামী বছর পর্যন্ত দর্শকের অনুমতি নেই স্টেডিয়ামে খেলা দেখার।’
কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ড্র হওয়ার পর ফিফায় দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমরা ‘ই’ গ্রুপে কঠিন তিনটি দলের সঙ্গে পড়েছি। এবারের সাক্ষাৎকারেও বলেন,‘গ্রুপে আমরা আন্ডারডগ। সবাই র্যাংকিংয়ে আমাদের ওপরে। তবে হয়ে যাওয়ার চারটি ম্যাচ আমরা অনেক ভালো খেলেছি। আরও পয়েন্ট আমরা পেতে পারতাম। বাকি ম্যাচগুলো থেকে আমরা আরও কিছু পয়েন্ট সংগ্রহ করতে চাই।’
প্রথম চার ম্যাচে বাংলাদেশ ১-০ গোলে হেরেছে আফগানিস্তানের কাছে, ২-০ গোলে হেরেছে কাতারের কাছে, ১-১ গোলে ড্র করেছেন ভারতের বিপক্ষে এবং ৪-১ গোলে হেরেছে ওমানের বিপক্ষে।
ওমানের কাছে ৪-১ গোলে হারটা এখনও মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না জেমি। কারণ ওই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোলগুলো খাওয়া ছিল হতাশাজনক। প্রথমার্থে বাংলাদেশ খুব ভালো ফুটবল খেলেছিল।
তৃতীয়বার চুক্তি নবায়ন করে জেমি ডে, আগামী দুই বছরে একটি ট্রফি জয়ের লক্ষ্যের কথা বলেছিলেন। ফিফা ডটকমকে দেয়া সাক্ষাৎকারেও তিনি বলেছেন, ‘পরবর্তী দুই বছরে আমাদের একটি ট্রফি জয়ের লক্ষ্য আছে।’
বাংলাদেশে ফুটবল খুব জনপ্রিয় উল্লেখ করে এ ইংলিশম্যান বলেছেন, ‘এখানে ফুটবল বেশি জনপ্রিয় হলেও সুযোগ-সুবিধাটা বেশি ক্রিকেটে; অবকাঠামো, বিনিয়োগ এবং পৃষ্ঠপোষক সবদিক দিয়েই। যেটা খেলাধুলার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফুটবলের তৃণমূল থেকে ক্লাব পর্যন্ত অবকাঠামো আরো বাড়াতে হবে। তাহলে নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে। আমি মনে করি, একদিন এশিয়ার সেরা দেশগুলোর তালিকায় যেতে পারবে বাংলাদেশ।’
আরআই/এমএমআর/পিআর