জাল পাসপোর্ট নিয়ে ধরা, অবশেষে মুখ খুললেন রোনালদিনহো

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২০

গত মাসের শুরুর দিকে জাল পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়েতে ঢোকার মুখে নিজের ভাইসহ বিমানবন্দরে ধরা পড়েছিলেন ব্রাজিলের অন্যতম সেরা ফুটবলার রোনালদিনহো গাউচো। এত বড় অপরাধ করায় সঙ্গে সঙ্গে তাকে চালান করে দেয়া হয় জেলে, ঠুকে দেয়া হয় মামলা।

সত্যিই পাসপোর্টগুলো জাল হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে এর বিরোধিতা করেননি রোনালদিনহো। আদালতের রায়ে দেয়া হয় ছয় মাসের জেল। তবে পুরোপুরি ছয় মাস জেলে থাকতে হয়নি তাকে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রায় ১৪ কোটি টাকা মুচলেকা দিয়ে জামিন নেন রোনালদিনহো ও তার ভাই।

এরপর থেকে আছেন হাউজ এরেস্ট অবস্থায়। কারাবন্দী জীবনটা খুব একটা খারাপ কাটেনি রোনালদিনহোর। সেলিব্রিটি হিসেবে পেয়েছেন জেলের সর্বোচ্চ সুবিধা। তার আশপাশের বন্দীরাও ছিল বন্ধুভাবাপন্ন। তাদের সঙ্গে ফুটবল, ফুটসাল, ভলিবল খেলেই সময় কাটিয়েছেন রোনালদিনহো।

এমনকি গত ২১ মার্চ এ ফুটবল জাদুকরের ৪০তম জন্মদিনও পালন করা হয়েছে জেলের ভেতর। তবু কারাবন্দী আর কারামুক্ত জীবনের রয়েছে বিস্তর ফারাক। তাই বিশাল অঙ্কের মুচলেকা দিয়েই কারামুক্ত হন তিনি। তবে মাঝের সময়টায় কোন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।

অবশেষে প্যারাগুইয়ান দৈনিক এবিসি কালারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন তিনি। জানিয়েছেন তার কাছে জাল পাসপোর্ট কীভাবে এলো কিছুই জানেন না তিনি। প্যারাগুয়ের আয়োজকরা তাকে যা দিয়েছে, সেটি নিয়েই গিয়েছিলেন তিনি। বিমানবন্দরে জাল পাসপোর্ট ধরা পড়ার পর তিনি নিজেও অবাক হয়েছিলেন।

রোনালদিনহো বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি বিস্মিত ছিলাম যে, আমাদের সঙ্গে থাকা কাগজপত্রগুলো আসল ছিল না। আমরা শুরু থেকেই বিচারক এবং বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এসেছি। প্রথমদিন থেকে এখনও পর্যন্ত সবকিছুই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানিয়েছি।’

jagonews24

ব্রাজিলিয়ান এ তারকা কখনও ভাবেননি জীবনে এমন সময়ও দেখতে হবে। তবে কারাবন্দী সময়টা উপভোগ্য করে রাখায় অন্যান্য বন্দীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে আশা করছেন শীঘ্রই এ ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

তার ভাষ্য, ‘এটা সত্যিই অনেক বড় একটা ধাক্কা ছিল। কখনও ভাবিনি এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে। সারাজীবন আমি আমার খেলার ব্যাপারে সৎ এবং পেশাদার থাকার চেষ্টা করেছি। মনের আনন্দেই খেলেছি।’

‘তবে কারাগারে যার সঙ্গেই দেখা হয়েছে, প্রত্যেকে বেশ ভালোভাবে স্বাগত জানিয়েছে আমাকে। সারাজীবনই ফুটবল খেলেছি, অটোগ্রাফ দিয়েছি, ছবি তুলেছি সবার সঙ্গে- কারাগারেও এগুলো না করার কোন কারণ ছিল না। বিশেষ করে যারা আমার মতো কঠিন সময় পার করছিল তাদের সঙ্গে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই প্যারাগুয়ের বিচার ব্যবস্থা সবকিছু আমলে নেবে এবং আমাদের অবস্থান বিবেচনা করে নিশ্চিত করবে যে কবে নাগাদ এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাবো।’

এসএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।