এবার ব্রাজিলে পূর্ণাঙ্গ দল পাঠাতে চায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে সহযোগিতার হাত আগেই বাড়িয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। যার অংশ হিসেবে গত বছর চারজন কিশোর ফুটবলার নিজেদের দেশে নিয়ে একমাস ট্রেনিং করিয়েছে পেলে-নেইমারদের দেশটি।
এবার সেই সহযোগিতা আরো বড় পরিসরে রূপ দিতে দুই দেশ একটা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের ফুটবল উন্নয়নের সম্পর্ককে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সমঝোতা স্মারক সই করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। আজ (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে সম্মেলন কক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে বসেছিল আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে, যেখানে হয়েছে এ সিদ্ধান্ত।
সভা শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘ব্রাজিল বিশ্ব ফুটবলে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি দল। আমাদের দেশের ফুটবলের উন্নয়নে ব্রাজিলের সাথে কাজ করতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, ব্রাজিল থেকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কোচ এনে আমাদের কোচদের প্রশিক্ষণ দিতে পারলে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে। আমাদের কোচ বা খেলোয়াড়দেরও ব্রাজিলে উন্নততর প্রশিক্ষণে প্রেরণ করতে হবে। এ জন্য তাদের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের ব্যাপারে আমরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আগের চার তরুণ ফুটবলার ব্রাজিলে পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর আমরা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চারজন বাছাইকৃত উদীয়মান ফুটবলার ব্রাজিলে পাঠিয়েছিলাম। তারা ঐ দেশে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। আমরা এবার চাইবো একটি পূর্ণাঙ্গ দল প্রেরণ করতে। একই সাথে বালিকা ফুটবলারদের পাঠানোর বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছি। আমরা চাইবো, বাছাইকৃত নারী ফুটবলারদের ব্রাজিলের বাইরে অন্য কোনো দেশে প্রেরণ করতে। সে লক্ষ্যেও আমরা কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নারী ফুটবলারা অত্যন্ত ভালো করছে। এবারই আমরা প্রথমবারের মতো বালিকাদের জন্যে বঙ্গমাতা ফুটবল সফলভাবে আয়োজন করেছি। সত্যিকার অর্থে ফুটবলের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।’
সভায় যুব ও ক্রীড়া সচিব জনাব মো. আকতার হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব, ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক, বিকেএসপির মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকসহ ক্রীড়া সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরআই/এমএমআর/পিআর