বাংলাদেশে আরও বেশিদিন থাকার ইচ্ছে ছিলো সিজারের

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৭ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

রাজধানী ঢাকায় পা রেখেছেন বুধবার বিকেলে, আবার চলে যাচ্ছেন আজ (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাতে। সবমিলিয়ে ত্রিশ ঘণ্টার খানিক বেশি সময় বাংলাদেশে অবস্থান করা হচ্ছে ফিফা লিজেন্ড, ব্রাজিলিয়ান সাবেক গোলরক্ষক হুলিও সিজারের।

এত অল্পসময় বাংলাদেশে থেকে একদমই মন ভরেনি এ সাবেক তারকা গোলরক্ষকের। যা তিনি নিজেই জানিয়েছেন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে। বৃহস্পতিবার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে দুপুর সাড়ে তিনটার পর বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন সিজার।

নিজের বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, ‘আমাকে আমন্ত্রণ জানানোয় (বাফুফে) প্রেসিডেন্ট এবং এ সফরের সুযোগ করে দেয়ায় ফিফাকে ধন্যবাদ। বাংলাদেশে এটাই আমার প্রথম সফর। দূর্ভাগ্যবশত এখানে মাত্র একদিন কাটানোর সুযোগ পেলাম। আরও কিছুদিন থাকতে পারলে ভালো হতো, এই দেশ সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানতে পারতাম।’

এ সময় তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে ঘুরে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির তত্ত্বাবধানে পুরো জাদুঘর ঘুরে দেখেছেন, জেনেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস।

জাদুঘরে ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে সিজার বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট (কাজী সালাউদ্দিন) যেমনটা বললেন, আমার সুযোগ হয়েছে জাতির জনকের বাড়ি ঘুরে আসার। এটা আমার জন্য খুবই আবেগপূর্ণ ছিলো। আমি জাতির জনক সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানতাম না। এখন আমি আমার দিনের কিছু সময় ব্যয় করবো তার ব্যাপারে জানার জন্য, এই দেশের ব্যাপারে জানার জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই খুশি এ সফর করতে পেরে, বাংলাদেশের ফুটবল সম্পর্কে জানতে পেরে। এখন জাতির জনকের নামে টুর্নামেন্ট চলছে, এটা খুবই ভালো বিষয়। আমি আশা করি আমার উপস্থিতি বাংলাদেশের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনবে (হাসি)। এখানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ভালো লেগেছে। তাদের কিছু স্কিল শেখানোর চেষ্টা করেছি, টেকনিকে উন্নতির চেষ্টা করেছি। এছাড়া নারী ফুটবলাররাও ছিলো এখানে। যা সত্যিই আশা জাগানিয়া।’

এসএএস/আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।