স্বপ্নার পেনাল্টি শটে কুপোকাত ব্রাজিলের গোলরক্ষক সিজার
তার ক্যারিয়ারের ‘ডিফাইনিং মোমেন্ট’ ধরা হয় ২০০৯-১০ মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার বার্সেলোনার তারকা লিওনেল মেসির পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে দেয়া। ওই ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তার দল ইন্টার মিলান, পরে হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন। একই মৌসুমে ইউরোপিয়ান ট্রেবল জেতার গৌরবও অর্জন করেছিল ইন্টার। যাতে বড় অবদান ছিলো ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক হুলিও সিজারের।
পুরো ক্যারিয়ারজুড়েই পেনাল্টি ঠেকানোর দক্ষতার কারণে বিশেষ পরিচিত ছিলেন সিজার। ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের ভূতুড়ে পরাজয় ব্যতীত সাফল্যমণ্ডিত ক্যারিয়ারই ছিলো তার।
সেই সিজার এখন অবস্থান করছেন বাংলাদেশে। চলতি বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের প্রচার-প্রচারণার লক্ষ্যে বুধবার বিকেলে পৌঁছেছেন রাজধানী ঢাকায়। আজ সকালে শ্রদ্ধারর্ঘ্য অর্পণ করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে। ঘুরে দেখেছেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর।
এরপর চলে আসেন মতিঝিলের বাফুফে ভবনে। ঢেঁকি যেমন স্বর্গে গেলেও ধান ভানে, তেমনি তিনিও বাফুফের আর্টিফিশিয়াল টার্ফে নেমে যেনো ফিরে গেলেন নিজের ফুটবলার জীবনে। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের আশপাশে থাকা গোলরক্ষকদের নিয়ে করলেন হালকা ট্রেনিং সেশন। এরপর শুরু হলো তার পেনাল্টি ঠেকানোর পালা।
তবে এতে ছিলো না কোনো জাতীয় দলের খেলোয়াড়। বরং বাফুফের নারী দলের ক্যাম্পে থাকা খেলোয়াড়দের করা শট ঠেকাতে গোলপোস্টের সামনে দাঁড়ান সিজার। প্রথমে শট নেন জুনিয়র দলের গোলরক্ষক জবা। তার শট সহজেই ঠেকান সিজার।
গোলরক্ষকদের বেশ কয়েকটি শট ঠেকানোর পর একদম শেষদিকে আসেন জাতীয় নারী দলের খেলোয়াড় সিরাত জাহান স্বপ্না। প্রথম শটেই বাজিমাত করেন তিনি। মাটি কামড়ানো শটে পরাস্ত করেন সিজারকে। তবে পরের শটগুলো ঠেকিয়ে দিতে আবার ভুল করেননি ব্রাজিলীয় গোলরক্ষক।
এভাবেই হাসি-আনন্দ আর মজায় শেষ হয় সিজারের মাঠের অনুশীলন পর্ব। ক্যাম্পের সকল খেলোয়াড়ের সঙ্গে হাত মেলান তিনি। পরে বাফুফে ভবনের সামনে বৃক্ষ রোপন শেষে উপরে উঠে যান মধ্যাহ্নভোজের জন্য, আর ক্যাম্পের খেলোয়াড়রাও বিরতি নেন অনুশীলন থেকে।
এসএএস/আইএইচএস/এমকেএইচ