মদের আসরে ভাইয়ের গুলি, করুণ মৃত্যু তরুণ ফুটবলারের

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৪ এএম, ২৭ আগস্ট ২০১৯

ফুটবল খেলাকে ভালোবাসতেন জীবনের অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি। দিনের বড় একটা অংশ কাটিয়ে দিতেন পায়ে বল নিয়ে। কিন্তু রোববার সন্ধ্যার পর ফুটবল খেলা সম্ভব নয় ভারতের তরুণ ফুটবলার অভিজিৎ বারইয়ের পক্ষে। কারণ তিনি যে এখন চলে গেছেন না ফেরার দেশে।

রোববার বাড়ি থেকে বেশ দূরে, খড়গপুরে খেলতে গিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে। ফিরতে ফিরতে বেজে যায় রাত ১১টা। হাতমুখ ধুয়ে মাকে বলেন রাতের খাবার দেয়ার জন্য। এর ফাঁকে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে বের হন ২২ বছর বয়সী অভিজিৎ।

মাকে খাবার হাতে অপেক্ষায় রেখে চাচাতো ভাইয়ের কাছে যাওয়াই যেনো কাল হয়ে দাঁড়ায় অভিজিতের জন্য। কেননা মদের আসরে মাতাল হয়ে থাকা চাচাতো ভাইয়ের গুলিতেই যে প্রাণ হারিয়েছেন সম্ভাবনাময় এ ফুটবলার।

গত রোববার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ নিমতা থানার পাটনা অম্বিকানগরে এ ঘটনা ঘটে। যেখানে বন্ধুদের নিয়ে মদের আসরে ডুবে ছিলেন অভিজিতের চাচাতো ভাই সুরজিৎ বারই। পরে অভিজিৎ সেখানে গেলে ভুলবশতই গুলি লেগে যায় তার বুকে। এ ঘটনায় সুরজিৎ ও তার বন্ধু সঞ্জয় মিত্রকে আটক করেছে পুলিশ। রাখা হয়েছে নয়দিনের পুলিশি হেফাজতে।

স্থানীয় পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, অভিজিতের গায়ে লাগা গুলিটি বের হয় সুরজিতের বন্দুক থেকেই। অভিজিৎ তার দাদার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তারা নেশাগ্রস্ত হয়ে আছে। কোনো নেশার অভ্যাস ছিলো না অভিজিতের, ফলে মদের সঙ্গে থাকা মাংসের এক টুকরো খাওয়ার জন্য মুখে নেয় সে।

এসময় সুরজিতের জং ধরা বন্দুক হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করছিল সঞ্জয়। এরই ফাঁকে বন্দুক থেকে গুলি বের হচ্ছে কি-না তা পরীক্ষা করার জন্য কয়েকবার ট্রিগার চাপে সঞ্জয়। কিন্তু কাজ হচ্ছে না বন্দুকটি নিজের হাতে নেয় সুরজিত এবং সে ট্রিগার চাপতেই সঞ্জয়ের হাত ঘেঁষে গুলি লাগে অভিজিতের বুকে।

এটি যে পুরোটাই ভুলবশত ঘটা এক দুর্ঘটনা, তা নিশ্চিত করেছে এলাকাবাসী। কেননা অভিজিতের আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের দাবী, তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে খুব মিল ছিল।এর মধ্যে এই ঘটনা কীভাবে ঘটল তা ভেবে পাচ্ছেন না কেউই।

এসএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।