২০২২ বিশ্বকাপ খেলতেই ব্রাজিলে ফিরেছেন আলভেজ

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৪ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০১৯

অবশেষে তিনি ফিরলেন দেশে, ছেলেবেলার ক্লাব সাও পাওলোতে। অনেকেই মনে করছেন, দানি আলভেজের ক্যারিয়ার শেষের পথে। তাই নামী ক্লাব ছেড়ে এখন দেশে ফিরেছেন। তবে আলভেজ নিজে এমনটা মনে করেন না। রক্ষণের অভিজ্ঞ এই সেনানী জানালেন, ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হলুদ জার্সি পরে মাঠে নামার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছেন তিনি, যখন বয়সটা হবে ৩৯ বছর।

মঙ্গলবার রাতে আলভেজকে স্বাগত জানাতে সাও পাওলোর প্রায় ৪০ হাজার সমর্থক মাঠে এসেছিলেন। সাবেক বার্সেলোনা এবং জুভেন্টাসের ডিফেন্ডার সর্বশেষ খেলেছেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি)। জুলাইয়ে ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি শেষ হবার পর ফ্রি টান্সফারে সাও পাওলোতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন আলভেজ।

খেলোয়াড়ি জীবনে এখন পর্যন্ত ৪০টি ট্রফি জেতা আলভেজ ক্যারিয়ার নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি এখনও। বললেন, ‘আগামী বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখি আমি। আমি একটি দল চাই, যে দল আমার উপর বিশ্বাস রাখবে, আমার ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতিহাসের উপর বিশ্বাস রাখবে। তাই আমি সাও পাওলোতে এসেছি। আমি চাই না কেউ ভাবুক আমার ক্যারিয়ার শেষ। আমার এখনও অনেক লক্ষ্যপূরণ বাকি।’

alves

গত বিশ্বকাপে হাঁটুর চোটের কারণে ব্রাজিলের হয়ে খেলতে পারেননি আলভেজ। তার আগে ২০১০ এবং ২০১৪ দুই বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু দুইবারই মাইকনের কারণে একাদশে জায়গা হয়নি।

ক্যারিয়ার বড় করতে এখন ডিফেন্ডার থেকে মিডফিল্ডার হওয়ার পথ ধরেছেন আলভেজ। ২০০৭ সালে ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় কাকা, যিনি কিনা সাও পাওলোর আরেকজন ঐতিহাসিক খেলোয়াড়, তার হাত থেকেই ১০ নাম্বার জার্সিটা গ্রহণ করেন আলভেজ। নিজের দেশের ক্লাবে এত সমর্থকের উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে আবেগ আর ধরে রাখতে পারেননি তিনি।

আবেগী কণ্ঠে আলভেজ বলেন, ‘আজ সাও পাওলো একজন খেলোয়াড়কে চুক্তিবদ্ধ করেনি, ক্লাবটি চুক্তিবদ্ধ করেছে আসলে আপনাদেরই মতো একজন সমর্থককে।’

নতুন ঠিকানায় আলভেজের যাত্রাকে স্বাগত জানিয়েছেন তার সাবেক বার্সা সতীর্থ লিওনেল মেসি আর লুইস সুয়ারেজ। মুরম্বি স্টেডিয়ামে জায়ান্ট স্ক্রিনে এই বর্ষীয়ান ব্রাজিল ডিফেন্ডারকে শুভকামনা জানান তারা।

এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।