ইরানের বিরুদ্ধে ম্যাচটি হলে দারুণ হবে : জেমি ডে
ফিফা র্যাংকিংয়ে ২০, এশিয়ায় ১। বিশ্ব ফুটবলে এই হলো ইরানের সর্বশেষ অবস্থা। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে পাঁচবার খেলা মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি বাংলাদেশের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। লাল-সবুজ জার্সিধারীদের জন্য এটা দারুণ এক খবর।
দুই দেশের ফুটবল ফেডারেশন ম্যাচটি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সে আলোচনা এগিয়েছেও অনেক দূর। তাইতো ইরানের পত্রিকা তেহরান টাইমস সম্ভাব্য তারিখ আর ভেন্যুসহ খবরও প্রকাশ করেছে। ইরানের পত্রিকার খবর অনুযায়ী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৫ সেপ্টেম্বর কাতারের দোহায়।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাই মিশন শুরু হবে ১০ সেপ্টেম্বর। তার আগেই বিদেশি কোনো দলের বিরুদ্ধে অন্তত একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা আছে কোচ জেমি ডের।
সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই কয়েকটি দেশের সঙ্গে চিঠি চালাচালি করছে বাফুফে। তার মধ্যে অন্যতম ইরান। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘কয়েকটি দেশ নিয়ে আমরা কাজ করছি। এটা ঠিক তাদের মধ্যে ইরানের সঙ্গেই ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’
প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য ইরানের মতো দল পাওয়া কঠিন। সেই ইরানই নিজেদের থেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দুইয়ে দুইয়ে মিলে চার হলে বাংলাদেশ এশিয়ার শীর্ষ দলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলেই শুরু করতে পারবে কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের মিশন।
ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য এ ম্যাচ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে ইংল্যান্ড থেকে বলেন, ‘এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আমরা চেষ্টা করছি। ইরানের সঙ্গে ম্যাচ হলে সেটা দারুণ হবে। এটাও ঠিক এ ম্যাচটি কঠিন হবে বাংলাদেশের জন্য। ইরান ভেন্যু হিসেবে কাতারের দোহার কথা বলছে, সেটাও এখনো চূড়ান্ত নয়।’
ইরান ছাড়া বিকল্প কোনো ভাবনা আছে কি? প্রশ্ন করলে জেমি ডে বলেন, ‘আমাদের প্রথম দেখতে হবে কোন দলকে পাওয়া সম্ভব। আমরা যদি শক্তিশালী দেশের বিরুদ্ধে না খেলি তাহলে ফিফা র্যাংকিং এগুবে না। ইরানের মতো দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে পারলে সেটা অবশ্যই ভালো।’
জেমি ডে ছুটিয়ে কাটিয়ে ঢাকায় ফিরবেন আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে। ২৬ বার ২৭ আগস্ট থেকে তিনি খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করতে চান। ১ আগস্ট প্রিমিয়ার লিগ শেষে খেলোয়াড়রা কিছুদিন বিশ্রাম নিয়েই নামবেন বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে।
আরআই/আইএইচএস/পিআর