‘শান্তি খুঁজে পেয়েছি ইসলামেই, অথচ মিডিয়ায় ভুলভাবে উত্থাপন করা হয়'

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৩ পিএম, ১১ জুন ২০১৯

ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন। নিজের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে তার ফুটবল দর্শকদের আনন্দ দেয় নিয়মিতই। কিন্তু ফুটবলার পগবা মাঠের বাইরে মানুষ হিসেবেও দারুণ। জন্ম থেকে মুসলমান না হলেও পরে ধর্মান্তারিত হয়ে গ্রহণ করেছেন ইসলাম। ফরাসি ফুটবলারের বিশ্বাস, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করাটাই বদলে দিয়েছে তার জীবন।

পগবা জানালেন, ইসলাম সম্পর্কে মানুষের ধারণাও সঠিক নয়। ইসলাম সম্পর্কে মিডিয়াতে যা প্রচার হয়, তা সত্য নয় বলেও দাবি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ফুটবলারের। তার মতে, ইসলামে সন্ত্রাস তো নেই’ই, বরং ইসলাম মানুষকে শান্তির সু-শীতল ছায়ার নিচে নিয়ে আসে এবং মানুষের জীবনকে বদলে দেয়।

তিনি বলেন, ‘ইসলামই সবকিছু। এটা আমাকে কৃতজ্ঞ হতে সাহায্য করেছে। ইসলাম আমাকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমার মনে হয় এটা আমাকে শান্তিপূর্ণ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। সবাই (পশ্চিমা বিশ্ব কিংবা অমুসলিমরা) যেভাবে দেখে, ইসলাম আসলে তেমন নয়। আমরা মিডিয়াতে যেমনটা দেখে থাকি যে, ইসলামে সন্ত্রাস আছে, জঙ্গিবাদ আছে। আসলে মোটেও তা নয়। এটা সত্যিই অনেক সুন্দর একটি ধর্ম। মিডিয়ায় একে ভুলভাবেই উপস্থাপন করা হয়। যে কারণে এই ধর্ম সম্পর্কে মানুষের ধারণা বদলে গেছে।’

Pogba

হঠাৎই ইসলাম গ্রহণের কারণও জানিয়েছেন পগবা। মূলতঃ তার ইসলাম গ্রহণে বড় ভূমিকা রেখেছেন তার মুসলিম বন্ধুরা। তাদের সঙ্গে একবার নামাজ পড়তে গিয়েই চোখ খুলে যায় পগবার। নামাজ পড়তে গিয়ে ভিন্ন রকমের এক অনুভূতি টের পান তিনি। এরপরই সিদ্ধান্ত নেন ইসলাম গ্রহণের।

পগবা বলেন, ‘আপনাকে ইসলাম সম্পর্কে জানতে হবে। ইসলামের সাথে সম্পর্কিত যে কোনো মানুষই এটা অনুভব করতে পারে। আমার অনেক বন্ধুই মুসলমান। এই কারণেই আমি এটা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছি। আমরা সবসময় ইসলাম নিয়ে কথা বলি। আমি নিজেই নিজেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করতে থাকি এবং এ ব্যাপারে গবেষণা চালাই। আমি একবার আমার বন্ধুদের সাথে নামাজ পড়েছিলাম। তখনই এতে আমি সত্যিই ভিন্ন কিছু অনুভব করেছিলাম। আমি নিজের মধ্যে খুব ভালো বোধ করতে শুরু করি। এরপরই সিদ্ধান্ত নেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার।’

এমএইচবি/এমএমআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।