লাকি সেভেনে ‘কুফা’ কাটানোর আশায় লিভারপুল কোচ

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৪ এএম, ০১ জুন ২০১৯

কোচ হিসেবে ইয়ুর্গেন ক্লপের পারদর্শিতা বা নৈপুণ্য অস্বীকার করবে, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। নিজ দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বড় ভাইয়ের মতো মিশে যেতে পারার অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে লিভারপুলের এ জার্মান কোচের।

পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে দলের সবার সঙ্গে সুমধুর সম্পর্ক রেখেই ফুটবল মাঠের পরিকল্পনা সাজান তিনি। ক্লপের অধীনে বদলে গেছে লিভারপুলও। কিন্তু কাটেনি একটি খরা, সেটি হলো ফাইনাল জেতার।

২০১২ সালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে ঘরোয়া ডাবল জেতার পর আর কোনো ফাইনাল জেতেননি ক্লপ। এসময়ে দুইবার চ্যাম্পিয়নস লিগ, একবার ইউরোপা লিগ, একবার লিগ কাপ এবং দুইবার ডিএফবি পোকালের ফাইনালে হেরেছেন তিনি।

শনিবার দিবাগত রাতে সপ্তম ফাইনালে নামবেন টটেনহামের বিপক্ষে, লক্ষ্য উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। কিন্তু তার টানা ছয় ফাইনাল হারার ইতিহাস ভয় ঢুকিয়েছে অলরেড ফ্যানদের মনে। এটিতে অবশ্য পাত্তা দিচ্ছেন না ক্লপ। তিনি বরং লাকি সেভেনের ফাইনালে বাজিমাত করার আশায় রয়েছেন।

স্পেনের মাদ্রিদে ফাইনাল ম্যাচে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে ক্লপ বলেন, ‘আগের ছয় ফাইনাল হারের কারণ যদি আমি হয়ে থাকি, তাহলে অবশ্যই চিন্তার কারণ রয়েছে। আর যদি বিষয়টা এমন না হয়, তাহলে আমি বলবো আমাদের এখনো সুযোগ রয়েছে এবং আমরা সেদিকেই চেয়ে রয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি দেখেন ২০১২ থেকে শুরু করে ২০১৭ ব্যতীত প্রতিবছরই আমার দল ফাইনাল খেলেছে। তার মানে আমরা এখানে মাঝেমাঝে ভাগ্যকে সঙ্গে পেয়েছি, আবার কখনো কখনো পাইনি। তাই আমি বলতে পারি যে গত ৭ বছরে সেমিফাইনাল জেতার দিক দিয়ে আমিই হয়তো বিশ্বরেকর্ডধারী।’

তবে ক্লপ মানছেন শিরোপা জিততে হলে ভাগ্যও প্রয়োজন। তার আগে নিজেদের কাজ শেষ করার পক্ষেই এ জার্মান কোচ।

তিনি বলেন, ‘আমি সাধারণ মানুষই বটে। আমি যদি একটা বদ্ধ ঘরে বসে ভাবতে শুরু করতাম যে সব আমার কারণে হয়েছে, তাহলে নিজেকে পরাজিত মনে হতো। আমি এমনটা ভাবি না, এভাবে দেখি না। আমি মনে করি কখনো সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য আসতেই পারে। গত কিছু ফাইনালে আমি সৌভাগ্যবান ছিলাম না। এটি বদলানোর ক্ষমতা আমার নেই।’

এসএএস/এনডিএস

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।