শেষ পর্যন্ত ভারতীয় লিগেই বাংলাদেশের সাবিনা
চাইনিজ তাইপের প্রিমিয়ার লিগে খেলার প্রস্তাব পাওয়ায় ভারতীয় ক্লাব সেথু এফসির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ নাারী জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন; কিন্তু তাইপের ভিসা না পাওয়ায় সেখানে আর যাওয়া হয়নি তার।
শেষ পর্যন্ত ভারতীয় ক্লাবেই খেলতে যাচ্ছেন জাতীয় দলের এই স্ট্রাইকার। তবে এবার সেথু এফসি নয়, খেলবেন ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগের চুড়ান্ত পর্ব গকুলাম কেরালার জার্সী গায়ে।
সন্ধ্যা ৭.১০ মিনিটের ফ্লাইটে ভারত যাচ্ছেন সাবিনা খাতুন। ১২ টি দল নিয়ে ইন্ডিয়া উইমেন্স লিগের চূড়ান্ত পর্ব ৫ মে শুরু হয়েছে পাঞ্জাবের লুধিয়ানার গুরু নানক স্টেডিয়ামে। চলবে ২২ মে পর্যন্ত। দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলছে দলগুলো।
সাবিনার ক্লাব গকুলাম কেরালা এফসি খেলছে ‘এ’ গ্রুপে। ইতিমধ্যে দলটি তাদের প্রথম ম্যাচ খেলেও ফেলেছে। উদ্বোধনী দিনে ৫-০ গোলে রাইজিং স্টুডেন্টস ক্লাবকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেছে কেরালা এফসি।
গত বছর ইন্ডিয়া উইমেন্স লিগে সাবিনা খেলেছিলেন সেথু এফসি ক্লাবে। সঙ্গে ছিলেন আরেক ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার। এবারও সাবিনাকে পেতে চেয়েছিল সেথু এফসি। কিন্তু সাবিনা চাইনিজ তাইপের প্রিমিয়ার লিগে খেলার প্রস্তাব পাওয়ায় সেথু এফসিকে না করে দিয়েছিলেন।
সেথু ইতিমধ্যে নেপালি খেলোয়াড় দিয়ে বিদেশি কোটা পূরণ করায় এবং চাইনিজ তাইপের ভিসা না পাওয়ায় এ বছর দেশের বাইরে লিগ খেলায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল সাবিনার। তবে চাইনিজ তাইপের লিগে খেলা না হলেও আবার ভারত মাতানোর সুযোগ পেয়ে যান দেশের নারী ফুটবলের সবচেয়ে বড় মুখ সাবিনা।
সবিনা খাতুন প্রথম বাংলাদেশী নারী ফুটবলার হিসেবে বিদেশি খেলেছেন। মালদ্বীপে মুড়ি-মুড়কির মতো গোল করে আলোচনায় আসার পর গত বছর ভারতের ক্লাব সেথু এফসি তাকে দলভূক্ত করে।
দলটির সেমিফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকাও রেখেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক। সেথু এফসির জার্সি গায়ে ৭ গোল করেছিলেন সাতক্ষীরা এই ফুটবলার।
ভারত রওয়ানা দেয়ার আগে সাবিনা খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ওয়ার্ক পারমিট না পাওয়ায় আমার ভিসা হয়নি চাইনিজ তাইপের। তাই সেখানে খেলতে যাওয়া হয়নি। মনে করেছিলাম, এ বছর আর বাইরে খেলা হয়তো হবে না। কারণ, আমি না করে দেয়ার পর আমার পুরনো দল সেথু এফসিও বিদেশি কোটা পূরণ করে ফেলে নেপাল থেকে খেলোয়াড় এনে। তারপর হঠাৎ কেরালা থেকে প্রস্তাব আসে। আমি ওখানে ভালো খেলে দেশের সুনাম অর্জন করতে চাই।’
আরআই/আইএইচএস/জেআইএম