মেসিদের বিপক্ষে ম্যাচে মাকে নিয়ে গালাগাল, কঠিন শাস্তি কস্তার

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৩ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৯

গত রোববার স্প্যানিশ লা লিগার ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার কাছে ২-০ গোলে হেরেছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। সে ম্যাচের ২৮তম মিনিটে লাল কার্ড থেকে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন অ্যাতলেটিকোর ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত স্প্যানিশ ফুটবলার ডিয়েগো কস্তা।

ম্যাচের মধ্যেই দেখা যায় লাল কার্ডের পরে রেফারির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন কস্তা। যা পরে নিজের ম্যাচ রিপোর্টে লেখার পাশাপাশি আনুষ্ঠানিক অভিযোগও করেন সে ম্যাচের রেফারি গিল মাঞ্জানো।

রেফারির এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কস্তাকে ৮ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। কস্তার এই শাস্তি মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথমত রেফারির সঙ্গে আজেবাজে ব্যবহারের জন্য ৪ ম্যাচ এবং পরে লাল কার্ড দেখানোর পরে রেফারির হাত চেপে ধরায় আরও ৪ ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাকে।

যার ফলে চলতি মৌসুমে আর মাঠে নামা হবে না তার। কেননা কোপা দেল রে ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। এছাড়া লিগে এর মধ্যেই ৩১টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে অ্যাতলেতিকো। তাদের আর ম্যাচ বাকি রয়েছে সাতটি। ফলে চলতি মৌসুমে তো নয়ই, লা লিগায় থাকলে পরের মৌসুমের প্রথম ম্যাচটিও খেলতে পারবেন না কস্তা।

তবে শুধু নিষেধাজ্ঞা পেয়েই যে পার পেয়ে যাবেন কস্তা, তা কিন্তু নয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা (৬০১০ ইউরো) জরিমানা গুনতে হবে তাকে। এছাড়া তার ক্লাব অ্যাতলেটিকোকে জরিমানা দিতে হবে ২৮০০ ইউরো (প্রায় ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা)।

নিজের অভিযোগপত্রে সে ম্যাচে রেফারি গিল মাঞ্জানো লিখেন ম্যাচের সে সময়টায় তিনি ফাউলের বাঁশি বাজালে কস্তা রাগী চেহারায় সামনে এসে তার (রেফারির) মাকে নিয়ে লেখার অযোগ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করেন মাঞ্জানো।

তবে আনুষ্ঠানিক শুনানির সময় আত্মপক্ষ সমর্থনে কস্তা বলেন যে তিনি রেফারি মাকে নয়, বরং নিজের মায়ের ব্যাপারেই কথা বলছিলেন। যা বুঝতে ভুল করেছেন রেফারি। কিন্তু ভিডিও ফুটেজ ও আনুষঙ্গিক প্রমাণাদি থাকায় ঠিকই ধরা পড়ে যান কস্তা এবং মুখোমুখি হন কঠিন শাস্তির।

এসএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।