পগবাকে দলে নিতে রিয়ালের দৌড়ঝাঁপ

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৬ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০১৯

হোসে মরিনহো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ থাকার সময়ই পল পগবা দল ছাড়তে চেয়েছিলেন। কোচের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না তার। মরিনহো এখন নেই। কিন্তু সেই যে দল ছাড়ার একটা গুঞ্জন উঠলো, ফরাসি মিডফিল্ডারের মনটা এরপর যেন উঠেই গেছে এই ক্লাব থেকে।

এজেন্টকে নাকি পগবা পরিষ্কারভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী মৌসুমে ম্যানইউ ছাড়তে চান। এজেন্টও তারপর থেকে নতুন ক্লাবের খোঁজে নেমে পড়েছেন।

এই সুযোগে পগবার দিকে চোখ পড়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। এর আগে শোনা গিয়েছিল, চেলসির তারকা ফুটবলার ইডেন হ্যাজার্ডের ব্যাপারে আগ্রহী রিয়াল। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, দলের মাঝমাঠকে শক্ত করতে পগবাকেই দলে চাইছেন রিয়াল কর্তারা।

জিনেদিন জিদান দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর আবার ভেঙেচুরে দল সাজাচ্ছেন। জিদানও নাকি পগবার বিষয়ে ইতিবাচক। দিন কয়েক আগে রিয়াল কোচ বলেন, ‘পগবাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আমার পছন্দের ফুটবলারদের মধ্যে একজন সে। কারণ পোগবা সম্পূর্ণ অন্য মানের ফুটবলার। দলের জন্য প্রচুর খাটতে পারে। তা ছাড়া মাঝমাঠে আক্রমণ গড়ার পাশাপাশি বিপক্ষের আক্রমণও ভাঙতে পারে পগবা। ওর মতো ফুটবলার এই মুহূর্তে খুব কমই রয়েছে।’

যাকে নিয়ে কথা, সেই পগবার সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে পরিষ্কার, তিনিও স্বদেশি কোচের অধীনে রিয়ালে খেলতে আগ্রহী। ফরাসি এই তারকা বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ বিশ্বের বৃহত্তম ফুটবল ক্লাব। সেখানে খেলা যে কোনও ফুটবলারেরর কাছেই একটা স্বপ্ন। তাছাড়া রিয়াল মাদ্রিদে রয়েছেন জিনেদিন জিদানের মতো বিখ্যাত কোচ। আন্তর্জাতিক ফুটবল দুনিয়ায় সব ফুটবলারই জিদানের অধীনে খেলতে চায়, নতুন কিছু শিখতে পারবে বলে। যদিও এখন আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ভালোই আছি। কিন্তু ফুটবলে কখন কি হয়, সেই ভবিষ্যত কে বলতে পারে?’

তবে দুই পক্ষই মোটামুটি রাজি থাকলে কি হবে, বাগড়া দিতে পারে পগবার আকাশছোঁয়া দাম। ফরাসি তারকাকে কিনতে হলে রিয়ালকে গুনতে হবে ১২০ মিলিয়ন ইউরো। এত দাম দিয়ে রিয়াল তাকে নিতে রাজি নয়। পগবা যদি নিজে থেকে আসতে চান, তবে তাকে কিছুটা ছাড় দিয়েই আসতে হবে।

এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।