পরাজিত মেয়েদের চোখের পানি মুছে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

রফিকুল ইসলাম
রফিকুল ইসলাম রফিকুল ইসলাম , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:০৭ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০১৯

সে এক অসাধারণ দৃশ্য। শেখ হাসিনা যে কেবল দেশের প্রধানমন্ত্রীই নন, একজন মমতাময়ী জননীও- তা আরেকবার প্রমাণ করলেন বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী দিনে পুরস্কার বিতরণের সময় প্রধানমন্ত্রীর মায়াবী হাতে মুছে গেলো মেয়েদের চোখের পানি।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হয়েছে দুই বিভাগের ফাইনাল। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ময়মনসিংহের পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেয়েরা। তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে লালমনিরহাটের টেপুগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেয়েদের।

ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই কান্না শুরু করে টেপুগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেয়েরা। কিছুতেই তাদের কান্না থামছিল না। স্কুলের শিক্ষকরাও যেন ব্যর্থ হচ্ছিলেন তাদের কান্না থামাতে। এমনকি পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে উঠেও কান্না করছিলেন তারা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে গিয়ে ছাত্রীরা পেল মায়ের স্নেহ। মুহূর্তেই ছোট ছোট মেয়েরা ট্রফি না পাওয়ার কষ্ট ভুলে গেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর ও ভালোবাসায়।

prime

মেয়েদের গলায় পদক পরিয়ে প্রধানমন্ত্রী বুকে টেনে নেন এক একজনকে। আরেক হাত দিয়ে মুছে দেন কান্নারত মেয়েদের চোখের পানি। তাদের দিয়েছেন সান্ত্বনা, দিয়েছেন এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ। মেয়েদের চোখের পানি মুছে দেয়ার সেই দৃশ্য যখন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের বড় পর্দায় ভেসে ওঠে তখন যেন আবেগ ছড়িয়ে যায় পুরো স্টেডিয়ামে।

ছেলেদের বিভাগ অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেটের হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফাইনালে তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে নীলফামারীর দক্ষিণ কানিয়ালখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে।

এবারের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে অংশ নিয়েছে ৬৫ হাজার ৭৯৫টি বিদ্যালয়ের ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫১৫ জন ছাত্র এবং বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে অংশ নিয়েছে ৬৫ হাজার ৭০০ বিদ্যালয়ের ১১ লাখ ১৬ হাজার ৯০০ ছাত্রী। কোনো ফুটবল টুর্নামেন্টে এত দল ও খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ বিশ্বে নতুন ইতিহাস।

আরআই/এমএমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।