এবার মোহামেডানে অস্ট্রেলিয়ান কোচ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৪:১৫ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০১৯

ঢাকার ক্লাব মোহামেডানের সঙ্গে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের মিল খোঁজা বোকামিছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু একটি জায়গায় যে দুই ক্লাবের বেশ মিল ঘটে গেছে চলতি মৌসুমে! রিয়াল মাদ্রিদ যেমন এক মৌসুমেই তিনবার কোচ পাল্টালো, ঢাকার মোহামেডানও চলতি মৌসুমে পাল্টাল তিন কোচ। সর্বশেষ মোহামেডানে নিয়ে আসা হয়েছে ইংলিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান কোচ সিন লেনকে।

আজ দুপুর ২টায় সিন লেনকে নিয়ে মোহামেডানে আসেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) স্ট্র্যাটেজিক ডাইরেক্টর পল স্মলি। তিনি নিজেও একজন অস্ট্রেলিয়ান। স্থানীয় কোচ আলী আসগর নাসির দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাওয়ার পর মোহামেডান খুঁজছিল একজন বিদেশি কোচ। স্মলির পরামর্শেই সিন লেনকে অস্ট্রেলিয়া থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে বাংলাদেশে।

মৌসুম শুরু হয়েছিল এক ইংলিশ কোচ দিয়ে। ক্রিস্টোফার ইভান্সের অধীনে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান খেলেছিল স্বাধীনতা কাপ। এরপর মোহামেডান ছেড়ে চলে যান এই ইংলিশ। তারপর সাদাকালোদের প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয় স্থানীয় কোচ আলী আসগর নাসিরকে দিয়ে।

Sean-lane

স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারার অভিযোগ তুলে তিনিও চলে যান ২-৩ মাস দায়িত্ব পালন করে। সবশেষে চলতি মৌসুমেই তৃতীয় কোচের দেখা পেলো মোহামেডান। ৫৫ বছর বয়সী সিন লেন এর আগে দায়িত্ব পালন করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ন্যাশনাল প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব গোল্ডকোস্ট নাইটসে অ্যাসিস্ট্যান্ট সিনিয়র হেড কোচ হিসেবে। নাসির চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচ শহিদুল ইসলাম জুয়েলই মোহামেডানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

মোহামেডানে আসার পর ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিত হন সিন লেন। পরিচিত হন ক্লাবের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও। তাদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি এবং প্রথম পরিচয়েই নিজের সম্পর্কে একটা ধারণা তিনি দিয়ে দিলেন মোহামেডান ফুটবলারদেরকে। জানিয়ে দিলেন, শৃঙ্খলা. শৃঙ্খলা.. আর শৃঙ্খলা...। এছাড়া তিনি আর কিছু বোঝেন না। শৃঙ্খলাই হচ্ছে প্রথম এবং একমাত্র কথা।

আগামীকাল সকাল ৯টায় মোহামেডানের ফুটবলারদের নিয়ে মাঠে নেমে পড়বেন সিন লেন। তার আগে আজ ক্লাব ফুটবলারদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্তভাবে তিনি বলেন, ‘শৃঙ্খলাটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমি এসেছি তোমাদের সহযোগিতা করতে। তোমরাও আমাকে সহযোগিতা করবে। তাহলেই সফলতা আসবে।’

ইংলিশ বংশোদ্ভূত এই অস্ট্রেলিয়ানের অবশ্য কোচিং ক্যারিয়ার খুব একটা সমৃদ্ধ নয়। এএফসি লাইসেন্স করেছেন কেবল কিছুদিন আগে, ২০১৮ সালে। কোনো ক্লাবেও প্রধান কোচ ছিলেন না। গোল্ডকোস্ট নাইটসে ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সিনিয়র হেড কোচ।

আরআই/আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।