রিয়াল মাদ্রিদে পেরুভিয়ান বিস্ময় বালক

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩৩ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০১৯

বয়স মাত্র ১১ বছর। মাদ্রিদের উপকণ্ঠে তার বসবাস। স্পেনের রাজধানীতে জন্ম হলেও সার্জিও তোরেসের শিকড় প্রোথিত কিন্তু লাতিন আমেরিকান দেশ পেরুতে। তার বাবা-মা দু’জনই যে পেরুভিয়ান। শুধু তাই নয়, এই এতটুকুন বয়সেও তার দেশপ্রেম বেশ জাগ্রত এবং ভবিষ্যতে নিজের দেশ পেরুর হয়েই খেলার ইচ্ছা সার্জিও তোরেসের।

এতটুকু শোনার পর নিশ্চয় বুঝে যাওয়ার কথা, মাত্র ১১ বছর বয়স হলেও সার্জিও তোরেসের মধ্যে প্রতিভা আছে! না হয় তাকে নিয়ে তো এত আলোচনা হওয়ার কথা ছিল না। পেরুর ফুটবলাঙ্গন ইতিমধ্যেই তাকে ‘জুয়েল অব পেরু’ উপাধিতে আখ্যা দিয়ে ফেলেছে। তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে পেরুভিয়ান ফুটবল ফেডারেশন।

এমন এক বিস্ময় বালক যখন একেবারের ঘরের পাশে তার দিকে নজর পড়বে না রিয়াল মাদ্রিদের, তা তো হতেই পারে না। স্প্যানিশ জায়ান্টটির স্কাউটদের ঠিকই নজরে পড়ে গেছে ১১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ওপর। নজর পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আর বিলম্ব নয়, এখনই সার্জিও তোরেসের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাবের বর্তমানে কি অবস্থা, সেটা মূল বিষয় নয়। তাদের এখন একটাই চিন্তা-চেতনা, ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা। সে হিসেবে এখন থেকেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করে দিয়েছে লজ ব্লাঙ্কোজরা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন তরুণ প্রতিভাকে ক্লাবের একাডেমি কিংবা উদীয়মান তারকা হিসেবে চুক্তিবদ্ধ করে নিয়েছে তারা। যার মধ্যে রয়েছেন ব্রাজিলের দুই বিস্ময় ফুটবলার ভিনিসিয়াস জুনিয়র এবং রদ্রিগো গোয়েজ।

গত সপ্তাহেই মাদ্রিদে অ্যালেভিন বি-এর হয়ে অভিষেক হয় সার্জিও তোরেসের। যেখানে সে খেলেছে তার চেয়েও এক বছর বেশি বয়সী ফুটবলারদের সঙ্গে। সেখানেই মাদ্রিদ স্কাউটদের চোখে পড়ে তোরেস।

তবে, আগেই চোখে পড়েছিল সার্জিও তোরেসের খেলা। ২০০৮ সালে জন্মগ্রহণ করে পেরুভিয়ান এই ক্ষুদে ফুটবলার। ভিয়াভার্দেতে খেলার সময়ই সবার নজরে পড়তে শুরু করে সে। ভিয়াভার্দে হচ্ছে, মাদ্রিদের উপকণ্ঠে একটি উপশহর। যেখানে সে খেলেছে টুএমটুয়েলভ একাডেমির হয়ে। প্রতিপক্ষ পাশ্ববর্তী একটি ছোট ক্লাব।

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।