ফার্গুসনের একটি চিবানো চুইংগামের দাম ৪৩৪ কোটি টাকা!

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩৬ পিএম, ২৬ মার্চ ২০১৯

অংকটা শুনলেই চোখ কপালে ওঠার কথা, ৪৩৪ কোটি টাকা! কিন্তু তার আগে যেনে নিন, সেই অংকটা কোন বিষয়টার সঙ্গে জড়িত। একটি চিবানো চুইংগাম। অবাক হচ্ছেন? হওয়ারই তো কথা, বাংলাদেশে মাত্র এক টাকা, দুই টাকায় কিনতে পাওয়া যায় চুইংগাম। বড়জোর ৫ থেকে ১০ টাকাও হতে পারে। অথচ, একজনের চিবানো চুইংগামই কি না বিক্রি হলো ৪৩৪ কোটি টাকায়!

মগের মুল্লুক নাকি? ব্যস্ত হবেন না। চুইংগামটি যিনি চিবিয়েছেন, তিনি আর কেউ নন, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক কোচ স্যার আলেক্স ফার্গুসন। ম্যানইউর কোচ হিসেবে ছিলেন দীর্ঘ ২৭টি বছর। অসংখ্য সাফল্য যার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে। ডাগ-আউটে বসে চুইংগাম চিবোনো ছিল স্যার ফার্গুসনের অন্যতম প্রিয় একটি অভ্যাস।

সেই আলেক্স ফার্গুসন ম্যানইউ এবং কোচিং ক্যারিয়ার শেষ করেছিলেন ২০১৩ সালের ১৯ মে। ওয়েস্ট ব্রমউইচের বিপক্ষে। ক্যারিয়ারের সর্বশেষ ওই ম্যাচে, সর্বশেষ যে চুইংগামটি ফার্গুসন চিবিয়েছিলেন, হাউথ্রন স্টেডিয়াম থেকে সেটিই সংগ্রহ করে রেখেছিল এক ব্যক্তি এবং ঠিক ৬ বছর পর সেই চিবানো চুইংগামটিই তোলা হলো নিলামে।

অনলাইন নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ইবে’র মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় নিলাম এবং ৩ লাখ ৯০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড (প্রায় ৪৩৪ কোটি টাকা) দিয়ে এক শৌখিন ব্যক্তি কিনে নেন সেই চুইংগামটি। নিলাম থেকে পাওয়া এই অর্থ জমা করা হবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফাউন্ডেশনে।

ফুটবল পাগল সমর্থকদের পাগলামির হাজার হাজার নিদর্শন থাকলেও একটি বিচানো চুইংগাম এক বিশাল দামে নিলামে বিক্রির ঘটনা হতবাক করে দিয়েছে সবাইকে। বিরল জিনিস নিজের সংগ্রহে রাখার শখ থাকে অনেক মানুষেরই। কোনও এক ম্যানইউ সমর্থকও ডাগআউটে বসে ক্লাবের সর্বকালের সেরা কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসনের চিবোনো শেষ চুইংগামটি রেখেছিলেন নিজের সংগ্রহে। সেটিই তিনি নিলামে তোলেন।

২০১৩ সালের ১৯ মে ওয়েস্টব্রমউইচের মাঠে ম্যাচটি ছিল ফার্গুসনের শেষ ম্যাচ। ৫-৫ গোলে অমিমাংসিত হওয়া ম্যাচে তার চিবানো চুইংগামটি এতদিন নিজের সংগ্রহশালায় রেখেছিলেন এক সমর্থক। অবশেষে প্রিয় কোচের চিবিয়ে ফেলে দেওয়া চুইংগাম কুড়িয়ে কোটিপতি হয়ে গেলেন তিনি।

আইএইচএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।