দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ বদলালেও ভাগ্য বদলায়নি
প্রথম ম্যাচে বাহরাইনের কাছে ১-০ গোলে হার। দ্বিতীয় ম্যাচে একই ফল ফিলিস্তিনের বিপক্ষে। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্ব থেকে কার্যত বিদায় লাল-সবুজ জার্সিধারী যুবাদের। সেই সঙ্গে অলিম্পিক ফুটবল খেলতে টোকিও’র টিকিট পাওয়ার দৌড়টাও শেষ।
এক ম্যাচ হাতে রেখে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হওয়া মানেই তো ব্যর্থতা। নিন্দুকেরা সেটাই বলবে; কিন্তু মধ্য প্রাচ্যের দুটি দেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যে লড়াকু ফুটবল খেলেছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। ইংলিশ কোচ জেমি ডে’র ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বাংলাদেশের ফুটবলের আরেকটি বিজ্ঞাপন হতে পারে বাহরাইনে এ দুটি ম্যাচ। বাংলাদেশ যে এখন আর আগেই হেরে যায় না। ৯০ মিনিট প্রতিপক্ষকে ঘাম ঝরাতে শিখেছে।
২২ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় ফিলিস্তিন। প্রথমার্ধে ভালো খেলেই লিড নিয়েছিল বাংলাদেশের চেয়ে ফিফা র্যাংকিংয়ে ৯২ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটি; কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে? মনে হলো নতুন একটা দল নামিয়েছেন জেমি ডে। তিনটি পরিবর্তন করে মাঠে বদলে গেলো বাংলাদেশ। কিন্তু বদলায়নি বাংলাদেশের ভাগ্য। দুটি সহজ সুযোগ পেয়েও ম্যাচে ফেরা হয়নি জেমির শিষ্যদের। না হলে অন্তত একটি পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতো লাল-সবুজের দেশ।
ম্যাচের পর সতীর্থদের কাঁধে চড়ে মাঠ ছাড়তে পারতেন মতিন মিয়া। আল আমিনের পরিবর্তে তাকে মাঠে নিয়ে আক্রমণ ভাগের শক্তি বাড়িয়েছিলেন জেমি ডে। নায়ক হওয়ার সহজ সুযোগ আছড়ে পড়েছিল মতিনের পায়ে; কিন্তু তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। সুফিলের বাড়ানো বল ধরে ফিলিস্তিনের গোলরক্ষককে কাটিয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি। তার দূর্বল শট ক্লিয়ার করেন ফিলিস্তিনের এক ডিফেন্ডার।
৭০ মিনিটে মতিন মিয়া সহজ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচের ফল অন্য রকমও হতে পারতো। প্রথমার্ধে প্রাধন্য নিয়ে খেলা ফিলিস্তিনকে দ্বিতীয়ার্ধে পুরোপুরি ভরকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ ৪৫ মিনিট গোলটি ধরে রীতিমতো রাখতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে ফিফা র্যাংকিংয়ে ১০০ নম্বরে থাকা দলটিকে।
আরআই/আইএইচএস/