বাফুফের বিরুদ্ধে এক পাওনাদারের মামলা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৩১ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পাওনা টাকা আদায়ের জন্য দিন বিশেক আগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডাশেনকে (বাফুফে) উকিল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ক্যাম্প কমান্ডার মো. আবদুস সাদেক। উকিল নোটিশের পরও কোনো সুরাহা না হওয়ায় এবার গাজীপুর শহরের এই সাদেক উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন। রোববার গাজীপুর থেকে আবদুস সাদেক জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘সপ্তাহখানেক আগে এ মামলা হয়েছে।’

মামলায় বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন এবং নির্বাহী কমিটির সবাইকে বিবাদী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাদেক। ‘আমি প্রায় ১৮ লাখ টাকা পাবো বাফুফের কাছে। উকিল নোটিশের পর বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বিভিন্ন মিডিয়ায় স্বীকারও করেছেন টাকা পাওনার কথা; কিন্তু পরিশোধ করেননি। তাই টাকা আদায়ের জন্য আমি মামলা করতে বাধ্য হয়েছি’ -বলেছেন আবদুস সাদেক।

বাফুফের কাছে পাওনা টাকার বেশিরভাগই এক যুগেরও বেশি সময় আগের। আবদুস সাদেক বলেছেন, ‘২০০৫ সালে যখন ক্রুসিয়ানি কোচ ছিলেন, তখন বিকেএসপির ক্যাম্পে দায়িত্বে ছিলাম। পরে ব্রাজিলের ডিডোর সময়ও ছিলাম। তখন ক্যাম্পের খাবার, ঔষধ ও জেনারেটর ভাড়া বাবদ এই টাকা হয়েছিল। আমি অনেকবার যোগাযোগ করেও টাকা পাইনি।’

২০০৫ সালে অবশ্য কাজী মো. সালাউদ্দিন বাফুফে সভাপতি ছিলেন না। এ বিষয়ে আবদুস সাদেক বলেছেন, ‘কাজী সালাউদ্দিন তখন ছিলেন টিম ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান। তিনিই তখন আমাকে বলেছিলেন খেলোয়াড়দের খাবারে যেন কোনো সমস্যা না হয়। আমি তার কথার ভিত্তিতেই খরচ করে গেছি।’

মামলার বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘মামলা হয়েছে কিনা জানি না। আমরা কোনো কাগজপত্রও পাইনি। আর উকিল নোটিশ পাওয়ার পর তার জবাব দিয়ে আবদুস সাদেককে বলেছি ১৪ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় বিল-ভাউচার জমা দিতে। ব্যর্থ হলে আমরা তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেবো। আমরা যতটুকু জানি, আনোয়ারুল হক হেলাল সাধারণ সম্পাদক থাকতেই এ ফাইলটা ক্লোজ করে দিয়েছেন। তারপরও আমরা দেখবো যদি সে উপযুক্ত বিল-ভাউচার জমা দেন।’

আরআই/আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।