মিয়ানমার সফর নিয়ে যা বললেন মারিয়া ও আঁখি
মারিয়া মান্ডা বেশ চটপটে। নারী অনূর্ধ্ব-১৬ দলের অধিনায়ক গণমাধ্যমে বেশ গুছিয়েই কথা বলেন। তার সহকারী আঁখি খাতুন ঠিক উল্টো। মাঠে প্রতিপক্ষকে সামলানো তার কাছে যতটা সহজ কাজ তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন কথা বলা। অত্যন্ত লাজুক দেশের নারী ফুটবলের সেরা এ ডিফেন্ডার। একটি-দুটি বাক্য বলেই মাথা নিচু করে হাসতে থাকেন। পাশে সতীর্থ কেউ থাকলে তো তার ঘাড়ে মুখ গুঁজে রাখবেন কিছুক্ষণ।
নারী ফুটবল দলের মিয়ানমার সফর উপলক্ষ্যে বুধবার বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রস্তুতি, প্রত্যাশা ও সম্ভাবনা নিয়ে বলতে গিয়ে আঁখি তো বেশ কিছু সময় মাথা গুঁজে রাখলেন অধিনায়ক মারিয়া মান্ডার ঘাড়ে। কোনো মতে হাসি থামিয়ে বললেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরে ক্যাম্পে আছি। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলছি। মিয়ানমারে আমাদের সব মনযোগ থাকবে খেলায়। আমরা আগেরবার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে থাইল্যান্ডে খেলেছি। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই যাতে এবারও থাইল্যান্ড যেতে পারি।’
আঁখির আগেই অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা মিয়ানমার সফর নিয়ে কথা বলেছেন। তিনিও চূড়ান্ত পর্বে কোয়ালিফাই করার প্রত্যাশার কথাই শুনিয়েছেন, ‘অনেকদিন ধরে আমরা এক সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আপুদের সঙ্গে আমরা প্রায়ই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। একটির পর একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেছি। আমাদের চেষ্টা থাকবে আগের মতো এবারও টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা।’
মারিয়া মান্ডা কেবল অনূর্ধ্ব-১৬ দলেরই নয়, জাতীয় দলেরও প্লে-মেকার। মারিয়া মূলতঃ অনূর্ধ্ব-১৫ দলের অধিনায়ক ছিলেন। কৃষ্ণা ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৬ দলের অধিনায়ক। কৃষ্ণা সিনিয়র দলে চলে যাওয়ায় এখন মারিয়া এই দলের অধিনায়ক।
আঁখি খাতুনও মারিয়ার মতো অনূর্ধ্ব-১৬ ও জাতীয় দলের অপরিহার্য খেলোয়াড়। ডিফেন্ডার হলেও গোল করতে কম পারদর্শী নন সিরাজগঞ্জের এ কিশোরী।
আরআই/আইএইচএস/জেআইএম