এমন মাঠে পেশাদার ফুটবল হয় কীভাবে!
বাংলাদেশের পেশাদার ফুটবল লিগকে লজ্জা দিলো নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন এ ভেন্যু পাইওনিয়ার লিগ খেলারও যোগ্য নয়। অথচ দেশের শীর্ষ লিগের অন্যতম ভেন্যু করা হয়েছে এই স্টেডিয়ামকে। বিজেএমসি ও নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের হোম ভেন্যু এ স্টেডিয়ামটি।
নতুন এই ভেন্যুতে এ পর্যন্ত চারটি ম্যাচ হয়েছে। সেখানে খেলে এসেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। হয়েছে স্বাগতিক দুই দল বিজেএমসি ও নোফেলের ম্যাচও। কিন্তু স্বাধীনতা কাপ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস খেলতে গিয়ে মাঠ দেখে অবাক। এ মাঠে পেশাদার ফুটবল খেলা হয় কিভাবে?
বসুন্ধরা কিংস মঙ্গলবার এই মাঠে খেলবে বিজেএমসির বিরুদ্ধে। সোমবার মাঠে অনুশীলন করতে গিয়ে রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিশ কোচ অসকার ব্রুজোন।
নোয়াখালী থেকে বসুন্ধরা কিংসের ম্যানেজার বায়েজীদ আলম যোবায়ের নিপু টেলিফোনে জাগো নিউজকে বলেন, ‘এমন ভেন্যু বাফুফে কিভাবে নির্ধারণ করলো আমাদের বোধগম্য নয়। এমন মাঠে পাইওনিয়ার লিগের খেলাও সম্ভব নয়। আমাদের কোচ তো মাঠ দেখেই রেগে গেছেন।’
শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের মাঠ শক্ত। পানি পড়েনি যেন অনেকদিন। ঘাস নেই। সেখানে এখনো গরু চরায়। মাঠের মধ্যে গোবর। গোলপেস্টের পেছনে বাঁশ পুতে লটকানো হয়েছে জাল। বিস্ময়করভাবে ডাগআউট তৈরি করা হয়েছে বাঁশ আর রঙিন কাপড় দিয়ে। যেন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ক্রীড়ার আয়োজন।
আরআই/এমএমআর/এমএস