আবাহনী-বসুন্ধরা ম্যাচ ঘিরে নীলফামারীতে ফুটবল উত্তাপ
এক দল চ্যাম্পিয়ন, আরেক দল নবাগত। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ দ্বিতীয় রাউন্ডেই তাই মুখোমুখি আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংস। কাগজ-কলমে এবারের মৌসুমের সেরা দুই দল তারা। ফেডারেশন কাপ জিতে আবাহনী ও স্বাধীনতা কাপ জিতে বসুন্ধরা কিংস নিজেদের শক্তির প্রমাণও দিয়েছে।
এবার মূল আসরের দ্বিতীয় ম্যাচেই মুখোমুখি তারা। জিতে দুই দলই শিরোপা দৌড়ে একটু এগিয়ে থাকতে চাইবে। যে কারণে এ ম্যাচ ঘিরে ফুটবল উত্তাপ যমুনার ওপারের শহর নীলফামারীতে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন ভেন্যু নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়াম। নতুন এ ভেন্যুকে নিজেদের বানিয়েছে প্রিমিয়ারের নতুন দল বসুন্ধরা কিংস। বুধবার এ ভেন্যুর অভিষেক হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগে। আর সেটা বড় ম্যাচ দিয়ে। বিকেল ৩ টায় আরিফ হোসেন মুনের শহরে মুখোমুখি হচ্ছে আবাহনী-বসুন্ধরা কিংস।
আবাহনী-বসুন্ধরা দুই দলই জয়ে শুরু করেছে লিগ। চ্যাম্পিয়নরা ২-১ গোলে হারিয়েছে আরেক নবাগত নোফেল এসসিকে, বসুন্ধরা কিংস ১-০ গোলে হারিয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালকে। এ ম্যাচ যারা জিতবে তাদের বড় এক বাধা টপকানো হবে লিগের শুরুতেই। আবাহনী-বসুন্ধরার কেউই এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না বলে ম্যাচটা আকর্ষণীয় হবে-এমন আশা ফুটবল সংশ্লিষ্টদের।
ম্যাচটি নিয়ে উত্তেজনায় কাঁপছে নীলফামারী শহর। গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ ঘিরে এ শহরে ফুটবল উম্মাদনা তৈরি হয়েছিল। কোনো কমতি নেই প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী-বসুন্ধরা ম্যাচ নিয়েও। ১২ হাজার দর্শকধারণ ক্ষমতার এ স্টেডিয়ামের টিকিট নিয়ে চলছে কাড়াকাড়ি। ৩০, ১০০ ও ৫০০ টাকার টিকিট যেন সোনার হরিণ।
ম্যাচটি মাঠ এবং মাঠের বাইরে দুইভাবেই উত্তেজনা ছাড়াচ্ছে। পুরনো হিসেবও আছে আবাহনী-বসুন্ধরার। দুই দলের তৃতীয় সাক্ষাতই তাই আগুনের ফুলকি ছড়াচ্ছে। প্রতিশোধের উত্তেজনায় কাঁপছে দুই দলের খেলোয়াড়রা।
ফেডারেশন কাপের ফাইনালে বসুন্ধরাকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। উত্তেজনায় ঠাসা ছিল ম্যাচটি। গোল, মারামারি, লালকার্ড- উত্তেজনাকর ফুটবলের সব উপকরণই ছিল ওই ম্যাচে। পরে দুই দলের ৪ ফুটবলারকে শাস্তিও পেতে হয়েছে মাঠে মারামারির জন্য।
ফেডারেশন কাপের ফাইনালের হারের প্রতিশোধ বসুন্ধরা কিংস নিয়েছে স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে। ১-১ গোলে শেষ হওয়া ম্যাচের নিস্পত্তি হয়েছিল টাইব্রেকারে। এখন দেখার তৃতীয় সাক্ষাতে জয়টা যায় কাদের ঘরে।
আরআই/এসএএস/এমএস