মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তিন নারী ফুটবলার

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৪৮ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯

মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে নারীদের সারি। সবার লক্ষ্য মনোনয়নপত্রের ফরম পাওয়া। এ দিন সকাল থেকেই যে শুরু হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি। প্রথম দিনেই উল্লেখযোগ্য নারী সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

নারী রাজনীতিবিদদের ভিড়ে তিনটি মুখ ছিল ব্যতিক্রম। জাতীয় নারী ফুটবল দলের তিন তারকা মারিয়া মান্ডা, তহুরা খাতুন ও শামসুন্নাহারকে দেখে হয়তো অনেকে অবাক হয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীদের ভীড়ে তারা কেন? দেশের নারী ফুটবলের অন্যতম সেরা তিন সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল মনোনয়নপত্র সংগ্রহই। তবে সেটা তাদের শিক্ষাগুরুর জন্য।

ময়মনসিংহের কলসিন্দুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১২ জন ছাত্রী আছেন জাতীয় ফুটবল দলের আবাসিক ক্যাম্পে। এই স্কুলের সহকারী অধ্যাপক মালারানী সরকার একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হতে আগ্রহী। তিনি মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র বিতরণের প্রথম দিনে ফরম সংগ্রহ করেছেন। তখন সঙ্গে নিয়েছিলেন তার তিন ছাত্রী এবং জাতীয় নারী ফুটবল দলের সদস্য মারিয়া মান্ডা, তহুরা খাতুন ও শামসুন্নাহারকে।

বাফুফের ভবনের ক্যাম্পে থাকা তার ১২ ছাত্রীকেই চেয়েছিলেন মালারানী সরকার। শেষ পর্যন্ত সবার পক্ষ থেকে মারিয়া, তহুরা ও শামসুন্নাহার গিয়েছিলেন তাদের শিক্ষিকার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে। ‘কলসিন্দুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ওরা। ওই শিক্ষিকা সবাইকে চেয়েছিলেন তার সঙ্গে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় থাকতে। সবাই যেতে পারেননি, তিনজন গিয়েছিল’-বলেছেন নারী ফুটবলারদের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।

ফরম সংগ্রহের পর তিন ফুটবলার দেখা করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সঙ্গে। দলীয় সাধারণ সম্পাদকই উদ্বোধন করেছেন মনোনয়ন ফরম বিক্রি। ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন সংরক্ষিত নারী আসনের তফসিল ঘোষণা করবে।

আরআই/এমএমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।