মার্চের প্রথম সপ্তাহে একাডেমি চালুর ঘোষণা সালাউদ্দিনের

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:৪২ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

রাজধানীর বাড্ডার বেরাইদে ফর্টিস গ্রুপের যে মাঠটি একাডেমি তৈরির জন্য পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সেখানে মার্চের প্রথম সপ্তাহে আবাসিক ক্যাম্প শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। রোববার বাফুফে নতুন ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রথম সভা শেষে বাফুফে সভাপতি এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি নিজেই ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান।

দীর্ঘদিন ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বাদল রায়। বছরখানেক আগে তিনি অসুস্থ হওয়ার পর কমিটির কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়েছিল। এর মধ্যে গত বছর জুনে বাফুফে হঠাৎ করেই বিলুপ্ত করেছিল স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলো। শুধু কমিটির চেয়ারম্যানরা বহাল ছিলেন। ১০ নভেম্বর বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভায় সরিয়ে দেয়া হয় ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায়কে। বাফুফে সভাপতি দায়িত্ব নেন কমিটির চেয়ারম্যানের।

পাক্কা দুইমাস আগে কমিটি গঠণ হলেও রবিবারই প্রথম সভা হলো। যে সভায় মূলতঃ একাডেমি শুরু নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভা শেষে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নিজেই মিডিয়াকে ব্রিফ করেন।

Field

‘আগে এ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন বাদল রায়। বছরখানেক আগে তার শরীর খারাপ হওয়ার পর কমিটি নেতৃত্বশূন্য ছিল। এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে আমি নিজেই দায়িত্ব নেই। এ কমিটি গঠন করা হয়েছে সাবেক ফুটবলারদের প্রাধান্য দিয়ে। ২/১ জন সংগঠক আছেন। প্রথম সভায় ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে’-বলেছেন বাফুফে সভাপতি।

বিকেএসপির সিলেট শাখা একাডেমির জন্য বরাদ্দ নিয়ে সেখানে আবাসিক ক্যাম্প চালু করেও বন্ধ করে দিতে হয়েছে অর্থ সংকটে। তারপর বাফুফের অনীহা তৈরি হয়েছিল একাডেমি নিয়ে। বাস্তবতার আলোকে সেই একাডেমিতেই ফিরছে বাফুফে। এবার বেশ জোরেসোরেই।

‘ফর্টিস গ্রুপের মাঠটি আমরা নিয়েছি। তাদের একটি ভালো বিল্ডিংও আছে। ইতিমধ্যে সেখানে সংস্কার কাজও শুরু হয়েছে। আশা করছি ২৫/৩০ দিনের মধ্যে শেষ হবে। কিছু আসবাবপত্রও লাগবে। সব ঠিকঠাক করে মার্চের প্রথম সপ্তাহে ওখানে আমরা ফুটবলার উঠিয়ে আবাসিক ক্যাম্প শুরু করতে পারবো। ত্রিশ দিন পর আমরা আবার সভা করবো’- একাডেমি চালুর কথা জোর দিয়েই ঘোষণা দিলেন বাফুফে সভাপতি।

কাদের নিয়ে একডেমি শুরু হবে তার বিস্তারিতও বলেছেন কাজী মো. সালাউদ্দিন, ‘আমাদের একটা বয়সভিত্তিক দল আছে। তাদের মধ্যে যারা সেরা তাদের একাডেমিতে রাখা হবে। বাইরে থেকেও প্রতিভা খুঁজে ক্যাম্পে ওঠানো হবে। খেলোয়াড়দের কোনো সংখ্যা নির্ধারণ করছি না। যত কোয়ালিটি পাওয়া যাবে ততো খেলোয়াড়ই একাডেমিতে তোলা হবে।’

Field-1

২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে খেলোয়ার বাছাই চূড়ান্ত হবে বলেও নিশ্চয়তা দিয়েছেন কাজী মো. সালাউদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘১০ দিন পর একাডেমির জায়গায় সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন। দেশি-বিদেশির মিশেলে একটি কোচিং স্টাফ থাকবে যাদের দিয়ে পরিচালনা হবে ফুটবল একাডেমি।’

সব কিছুর মূলে অর্থ। যার যোগান না থাকলে যে কোনো ভালো কাজই গতিহীন হয়ে পড়ে। সিলেটের একাডেমির জন্য ফিফার বরাদ্দ পেয়েও বাফুফে তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারেনি। একডেমির জন্য ফিফার বরাদ্দ নিয়ে বাফুফে সভাপতির ব্যাখ্যা, ‘ফিফার স্পেশাল ফান্ড থেকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ব্লাটার একটা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। যে অর্থের বড় একটা অংশ ভবন সংস্কার, মাঠ সংস্কার ও আববাবপত্র কিনতে খরচ হয়েছিল। তারপর এক দেড় বছর একাডেমির কার্যক্রম চলেছে। ফিফার নির্দিষ্ট বরাদ্দেতো যুগযুগ কার্যক্রম চলবে না, তাই না?’

নতুন এই একাডেমির অর্থ কোত্থেকে আসবে? আবার কিছুদিন পর বন্ধ হয়ে যাবে না তো? এ প্রশ্নও উঠেছিল। বাফুফে সভাপতি একাডেমি শুরুর জন্য প্রাথমিকভাবে আড়াই কোটি টাকার মতো লাগবে উল্লেখ করে তার ব্যবস্থার দায়িত্ব নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন, ‘শুরুর দিকে যে আড়াই কোটি লাগবে তা আমি এবং আমার বন্ধু-বান্ধব মিলে ব্যবস্থা করবো। যতদিন অর্থের সংকুলান না হবে ততদিন আমিই দায়িত্ব নিয়ে চালাবো।’

সম্প্রতি জর্ডান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সঙ্গে একাডেমি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বাফুফে সভাপতির। কাজী মো. সালাউদ্দিন রোববার জানিয়েছেন, দুই দেশের ফুটবল ফেডারেশনের মধ্যে একটি সহযোগিতা চুক্তি সাক্ষর হবে।

আরআই/আইএইচএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।