নতুন বছরের শুরুতেই হারের মুখ দেখল রিয়াল

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৩ এএম, ০৭ জানুয়ারি ২০১৯

 

বছরটা একদমই ভালো কাটছে না রিয়াল মাদ্রিদের। বছরের প্রথম এওয়ে ম্যাচে ভিয়ারিয়ালের মাঠ থেকে ড্র নিয়ে ফিরলেও ঘরের মাঠেই বছরের প্রথম হারের মুখ দেখলো হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দল রিয়াল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামে রিয়াল সোসিয়াদাদের বিপক্ষে তারা হেরেছে ০-২ ব্যবধানে।

ম্যাচের শুরুতেই রিয়াল মাদ্রিদকে বড় ধাক্কা দেন সোসিয়াদাদের ফুটবলার উইলিয়ান হোসে। নিজেদের ডি বক্সের ভেতর মেরিনোকে ফাউল করে বসেন কাসেমিরো। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান।

southeast

২ মিনিটের মাথায় স্পট কিক থেকে সোসিয়াদাদকে ০-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন উইলিয়ান হোসে। ১৭ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। কিন্তু প্রথমবার লা লিগার একাদশে সুযোগ পেয়ে বলটিকে সোসিয়াদাদের আর্জেন্টান গোলরক্ষক রুল্লির মাথার উপর দিয়ে মারেন ভিনিসিয়াস।

পুরো প্রথমার্ধ বল নিজেদের দখলে রাখলেও তেমন কোন গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি রিয়াল। বিরতিতে যাওয়ার ১ মিনিটে আগে লুকাস ভাস্কুয়েজের শট গোলবারে লেগে ফিরে আসলে গোল বঞ্চিত হয় তারা।

বিরতি থেকে ফিরে গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের মরার উপর খারার ঘা হয়ে আসে লুকাস ভাস্কুয়েজের লাল কার্ড। ৬১ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায় লাল কার্ড খেয়ে মাঠ ছাড়েন এই স্প্যানিশ। এর ঠিক দু মিনিট পরেই ম্যাচের সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্তটি আসে।

৬৩ মিনিটে ভিনিসিয়াস বল নিয়ে ডি বক্সের ভেতর ঢুকলে সোসিয়াদাদের গোলরক্ষক তাকে ফেলে দিলেও দিলেও রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেননি এমনকি ভিএআরের মাধ্যমেও দেখার সুযোগ মনে করেননি। পুরো ম্যাচ জুড়েই এটি নিয়ে হয়েছে নানা আলোচনা।

উল্টো ম্যাচ শেষের সাত মিনিট আগে ৮২ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমে রিয়াল মাদ্রিদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঢুকিয়ে দেন রুবেন পার্দো। ফলে ০-২ ব্যবধানে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় রিয়ালকে। ইতোমধ্যে লা লিগায় ৬টি ম্যাচে হেরেছে তারা। লিগ টেবিলের পঞ্চম স্থানেও নেমে গেছে সোলারির দল। এমন পারফর্ম করতে থাকলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আগামী মৌসুমে অংশ নেওয়াটাও কষ্টকর হয়ে যাবে তাদের।

আরআর/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।