বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে নেদারল্যান্ডসের চমক

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৫ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

গায়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের তকমা। তার উপর টানা ১৫ ম্যাচ ধরে অপরাজিত। এই ফ্রান্সকে কে হারাবে! এতসব উপমাকে ৯০ মিনিটেই ম্লান করে দিল চমক জাগানিয়া দল নেদারল্যান্ডস। ২০১৮ বিশ্বকাপ খেলতে না পারা দলটিই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে ২-০ গোলে হারিয়ে উয়েফা নেশন্স কাপের শেষ চারের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল।

ঘরের মাঠে শুরু থেকেই ফ্রান্সের উপর চেপে বসে ডাচরা। রোনাল্ড কোয়েমানের অধীনে ইতোমধ্যেই জার্মানিকে হারিয়ে রূপকথার সূচনা করা দলটি এদিনও সে লক্ষ্যেই মাঠে নামে। শুরুতেই ২ মিনিটের মাথায় ডেপায়ের শট রুখে দিয়ে দলকে বাঁচান লরিস। ম্যাচের প্রথমার্ধ দু'দল আক্রমণ পালটা আক্রমণ করলেও তেমন আর কোন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।

তবে শেষ পর্যন্ত ৪৪ মিনিটে ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পায় নেদারল্যান্ডস। ডি বক্সের ভেতর ফ্রান্স ডিফেন্ডারদের ভুলে রায়ান বাবেল বল পেয়ে সোজা লরিসের গায়ে মারলেও ফিরতি বলে সেটিকে জালে জড়ান লিভারপুল তারকা ওয়াইনালদাম।

এক গোলের লিড নিয়ে বিরতি থেকে ফিরেও আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে ডাচরা। ৬৬ মিনিটে ডামফ্রিস এবং ব্লেইনডের ডাবল শট রুখে দলকে এ যাত্রায় আবারো দলকে বাঁচান ফ্রান্স অধিনায়ক লরিস।

ম্যাচের শুরু থেকে খেললেও এদিন একদমই নিষ্প্রভ ছিলেন ফ্রান্সের গোল্ডেন বয় কিলিয়ান এমবাপে। ২০ মিনিট আগে জিরুডের বদলে ডেম্বেলে নেমে ফ্রান্সের খেলার গতি কিছুটা বাড়ান। কিন্তু তেমন কোন পরিকল্পিত আক্রমণই করতে পারেনি তারা। উলটো ৭৪ ও ৭৫ মিনিয়ে ডেপায়ের দুটি শট রুখে দিয়ে আবারো ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত হন লরিস।

সবাই যখন ১-০ ব্যাবধানে জয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক তখন ম্যাচের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটের মাথায় ডি ইয়ংকে ডি বক্সে ফেলে দিয়ে ডাচদের পেনাল্টি উপহার দেন সিসোকো। স্পট কিক থেকে লরিসকে বোকা বানিয়ে দলকে ২-০ গোলের দারুণ জয় এনে দেন দুর্দান্ত খেলা মেমফিস ডেপায়।

এই হারে নেশন্স লিগের শীর্ষ চারে ওঠার লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়লো ফ্রান্স। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ডাচরা জার্মানির সঙ্গে ড্র করলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে যাবে নেদারল্যান্ডস।

আরআর/জেডএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।