পিএসজির কাছে এমবাপের উচ্চাভিলাষী যত আবদার

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:২৩ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০১৮

উইকিলিকস কিংবা পানামা পেপারের মতই ফুটবল লিকস। ফুটবলাঙ্গনের ভেতরের নানা খবর বেরিয়ে আসছে ফুটবল লিকসের মাধ্যমে। ম্যানসিটি এবং পিএসজি যে আইন ভঙ্গ করে খেলোয়াড় কেনা-বেচায় টাকা খরচ করেছে, সেটাও উঠে এসেছে এই ফুটবল লিকসের নানা তথ্যের মধ্য থেকে। সেখান থেকেই জানা যাচ্ছে, পিএসজির ফরাসি টিনএজ তারকা কাইলিয়ান এমবাপে কতটা উচ্চাভিলাষী ছিলেন, তার প্রমাণ।

২০১৭ সালে ফরাসি ক্লাব মোনাকো থেকে ১৮০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে যোগ দেন এমবাপে। এক বছরের লোনে পিএসজিতে এলেও ২০১৭-১৮ মৌসুম শেষে এমবাপে বাধ্যতামূলকভাবেই বিক্রি হয়ে যাবেন পিএসজির কাছে, এটা ছিল শর্ত। সে হিসেবেই গত মৌসুম কাঁপানোর পর চলতি মৌসুমেও পিএসজিতে খেলছেন বিশ্বকাপজয়ী এই তরুণ তারকা।

ফ্রান্সের দৈনিক এল ইকুইপেতে প্রকাশ হচ্ছে ফুটবল লিকসের মাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়া নানা ঘটনা। সেখান থেকেই জানা গেলো, এমবাপের উচ্চাভিলাষীতার নানা খবর। জানা গেলো, এমবাপেকে কেনার জন্য ২১৪ মিলিয়ন ইউরো ব্যায় করতেও রাজি ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু নিজের শহরে থাকা এবং নিজ দেশের ক্লাবে খেলবেন বলে এমবাপে নাম লেখান পিএসজিতে।

এমবাপের আগের ক্লাব মোনাকো কোনোভাবেই চায়নি ভালো একজন খেলোয়াড় দিয়ে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী পিএসজিকে আরও শক্তিশালী করে তুলুক। বরং, তারা চেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের কাছেই এমবাপেকে বিক্রি করার জন্য। ১৮০ মিলিয়ন ইউরোর সঙ্গে ৩৪ মিলিয়ন ইউরো ট্যাক্সের টাকাটাও দিতে চেয়েছিল রিয়াল। কিন্তু এমবাপের কারণেই এই চুক্তিটা আর করা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে ফুটবল লিকসে ফাঁস হওয়া তথ্য দিয়ে জানা গেছে পিএসজির কাছে উচ্চাভিলাষীতার জন্য অনেকগুলো দাবি করেছিলেন এমবাপে। তার মূল দাবি ছিল, পারিশ্রমিক নেইমারের সমান করে দেয়ার। নেইমার পারিশ্রমিক পান বার্ষিক ৩০ মিলিয়ন ইউরো করে। এমবাপেও দাবি করেছিলেন, একই পারিশ্রমিক। তবে শর্ত দিয়েছিলেন, যদি তিনি ব্যালন ডি’অর জিততে পারেন, তাহলে।

তবে ফুটবল লিকস প্রকাশ করেছে, পিএসজির সঙ্গে চুক্তির সময় ৫ মিলিয়ন ইউরো সাইনিং বোনাস নিয়েছিলেন তিনি। পারিশ্রমিক ট্যাক্সছাড়া ১০ মিলিয়ন ইউরো। তবে নেইমারের সমান পারিশ্রমিক না করলেও আরও অতিরিক্ত ৫ লাখ ইউরো বোনাস দিতে হয়েছিল এমবাপেকে।

পিএসজির কাছে এমবাপের আরও একটি উচ্চাভিলাষী দাবি ছিল, বছরে অন্তত ৫০ ঘণ্টা ব্যবহারের জন্য তাকে ব্যক্তিগত বিমান (প্রাইভেট জেট) দিতে হবে। কিন্তু বিষয়টা অতিরিক্ত বলে নাকচ করে দিয়েছিল পিএসজি। ক্লাবের কাছে এমবাপের সর্বশেষ দাবি ছিল তার ফ্ল্যাটে তিনজন ব্যক্তিগত কর্মচারী রাখার জন্য মাসিক ৩০ হাজার করে ইউরো দিতে হবে। তিনজন ব্যক্তিগত কর্মচারী হলেন একজন খানসামা, একজন ড্রাইভার এবং একজন বডিগার্ড। পিএসজি এই দাবিটা মেনে নিয়েছিল তার।

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।