ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ০১ নভেম্বর ২০১৮

নেপালের বিরুদ্ধে গ্রুপ ম্যাচে লাল কার্ড পেয়েছিলেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমা। বাকি সময় সামলানো দ্বিতীয় গোলরক্ষক মেহেদী হাসান বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে একাদশে সুযোগ পেয়েই হয়ে গেলেন ভারতকে হারানোর নায়ক।

টাইব্রেকারে ভারতের নেয়া প্রথম দুটি শট ঠেকিয়েই বাংলাদেশকে নিয়ে যান ফাইনালের পথে। তৌহিদুল ইসলাম হৃদয়, রাজা আনসারী, রাজু, রুস্তম গোল করে বাংলাদেশকে তুলে দেন সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে।

নেপালের কাঠমান্ডুতে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিরুদ্ধে ৯২ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের কিশোররা মাঠ ছাড়ে দুর্দান্ত জয় নিয়ে। ১৭ মিনিটে প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন হর্ষ শৈলেশ। ৯৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান আশিকুর রহমান। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

টাইব্রেকারে বাংলাদেশ চারটি শট নিয়ে লক্ষ্যভেদ করে। ভারত গোল করে চার শটে দুটি। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ এখন শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে। ২০১৫ সালে সিলেটে অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।

টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে ৯-০ গোলে মালদ্বীপকে এবং নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল। সেমিফাইনালের আগে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিল ভারতবধের আত্মবিশ্বাস। ভারতবধ করেই লাল-সবুজ জার্সিধারী কিশোররা দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এগিয়ে গেলো আরেক ধাপ। ২০১১ সালে চালু হওয়া দক্ষিণ এশিয়ার কিশোরদের এ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয়বার ফাইনালে ওঠা।

শনিবার বাংলাদেশ ফাইনাল খেলবে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তান ৪-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক নেপালকে। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৩ টায়।

আরআই/এসএএস/আরআইপি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।