রোনালদো নয়, মেসিকেই পছন্দ পেলের
আগেও অনেকবার আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসির প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি এবং শতাব্দীর সেরা ফুটবলার পেলে। এবার আবারও সেই একই কথা জানালেন ভারতে এসে। দেশটির রাজধানী দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পেলে সরাসরি জানিয়ে দিলেন, তার পছন্দের ফুটবলার হচ্ছেন মেসি। রোনালদো নন।
দিল্লির ওই অনুষ্ঠানে পেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রোনালদো-মেসির তুলনা করতে গিয়ে বলেন, ‘মেসির সঙ্গে রোনালদোর তুলনা করা কঠিন। মেসি আর রোনালদো সম্পূর্ণ আলাদা ভঙ্গিতে ফুটবল খেলে। অনেকেই আমার সঙ্গে জর্জ বেস্টের তুলনা করতেন। অথচ আমরা দুজন দুরকম খেলতাম। রোনালদো পুরোপুরি সেন্টার ফরোয়ার্ড; কিন্তু মেসি আক্রমণটাকে তৈরি করে।’
মেসি-রোনালদোর তুলনা করতে গিয়ে এভাবে তো পাশ কাটালেনই। সঙ্গে নিজের সেরা হিসেবে ঘোষণা করলেন মেসির নাম। পেলে সরাসরি বললেন, ‘আমাকে যদি নিজের দল বাছাই করতে বলা হয়, তা হলে রোনালদো নয়, মেসিকেই বাছাই করে নেবো।’
দিল্লির ওই অনুষ্ঠানে পেলেকে প্রশ্ন করেন ভারতের সাবেক ফুটবল অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া। তিনি জানতে চান পেলে কেন ফুটবলে এসেছিলেন? জবাবে পেলে বলেন, ‘আমার বাবা ভাল সেন্টার ফরোয়ার্ড ছিলেন। উনিই আমাকে খেলতে শিখিয়েছেন। বাবা আমাকে বলতেন, তার চেয়ে তিনগুণ বেশি গোল আমাকে করতে হবে। বাবাই আমার অনুপ্রেরণা ছিলেন।’
পেলের আসল নাম এডসন আরান্তেস দো নাসিমন্তো। কিন্তু পেলে কিভাবে হলো? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিখ্যাত আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসনের সঙ্গে মিলিয়ে বাবা আমার নাম রেখেছিলেন। যখন খেলা শুরু করলাম তখন আমাকে সবাই ‘পেস’ বলে ডাকতো। পেস মানে পা। পর্তুগিজে বলে শট মারাকেও বলা হয় ‘পেস’। এই ‘পেস’ থেকেই এক সময় আমাকে পেলে ডাকা শুরু হল।’
ছোটবেলায় পেলে স্বপ্ন দেখতেন করিন্থিয়ান্সে খেলার; কিন্তু এক্ষেত্রেও তিনি বাবার মতামতকেই প্রাধান্য দেন এবং সান্তোসে সাক্ষর করেন। কারণ, সান্তোসের প্রেসিডেন্ট পেলের বাবার ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সঙ্গে জানালেন, ১৯৫৮ সালে বন্ধুদের কাছ থেকে ব্রাজিল জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার খবর বিশ্বাসই করতে পারেননি, ‘বন্ধুরা খবরটা দেওয়ার পরে ওদের বলেছিলাম, তোমরা আমার সঙ্গে মজা করছো? যে বিমানে সুইডেনে উড়ে গেলাম সেটা দেখেও চমকে গিয়েছিলাম। কী বিশাল ছিল সেই বিমানটা!’
তার সঙ্গে খেলা সর্বকালের সেরা কোন কোন ফুটবলারকে বাছাই করবেন, জানতে চাইলে পেলে নিজ দেশের তিনজনের নামই বললেন। গারিঞ্চা, দিদি এবং ফালকাও; কিন্তু কোন ফুটবলারের খেলা দেখতে টিকিট কেটে মাঠে যাবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জিকো আর সক্রেটিসের খেলা টিকিট কেটে দেখতে চাইব।’
আইএইচএস/আরআইপি