ফিলিপাইন-লাওস ম্যাচেও চোখ জেমি ডে’র

রফিকুল ইসলাম
রফিকুল ইসলাম রফিকুল ইসলাম , বিশেষ সংবাদদাতা সিলেট থেকে
প্রকাশিত: ০৩:২৮ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০১৮

লাওসকে হারিয়ে কক্সবাজারের পথে এক পা দিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। শুক্রবার ফিলিপাইনের সঙ্গে ড্র করলেই বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে। হারলেও বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে না, যদি আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে না জিততে পারে লাওস।

সন্ধ্যায় ফিলিপাইন-লাওসের ম্যাচের দিকে নজর এখন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে’র। এ ম্যাচের ফল বাংলাদেশকে সেমিতে তুলে দিলে নির্ভার হয়ে গ্রুপের শেষ ম্যাচের দল সাজাতে পারবেন স্বাগতিক দলের কোচ। তখন তিনি পরখ করার সুযোগ পাবেন রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়দের। বিশ্রাম দিতে পারবেন হালকা ব্যথা পাওয়াদেরও। সেমিফাইনালের আগে সেটা হবে জেমি ডে’র জন্য সুবর্ণ এক সুযোগ।

সোমবার উদ্বোধনী ম্যাচের পর বাংলাদেশ তিন দিন সময় পেয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে। তাই মঙ্গলবার হোটেলে জিম আর সুইমিংয়ের বেশি কিছু করাননি কোচ। তবে বুধবার সকালে সিলেট বিকেএসপিতে শিষ্যদের ঘন্টা দেড়েক অনুশীলন করিয়েছেন জেমি ডে।

ফিলিপাইন-লাওস ম্যাচের ফল বাংলাদেশের পক্ষে হলে তাতে এক ধরনের নির্ভারতা আসবে ঠিকই। কিন্তু কোচ জেমি ডে ম্যাচ বাই ম্যাচ দলের উন্নতিতে নজর দিচ্ছেন। সেমিফাইনাল নিশ্চিত হলে তাকে ছক ঠিক করতে হবে ফাইনালে ওঠার। যে কারণে ফিলিপাইনের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগে তাকে সতর্কই থাকতে হচ্ছে।

বুধবারের ম্যাচে লাওস জিতে গেলে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রয়োজন হবে কমপক্ষে ড্র। যে সমীকরণটা ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের বিরুদ্ধে। মেলাতে পারেনি বাংলাদেশ। সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় আক্রমণভাগ। ফরোয়ার্ডরা গোল করতে না পারার খেসারত বহুবার দিয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবারের অনুশীলনে ওই জোনটাকেই বেশি গুরুত্ব দিতে দেখা গেলো বাংলাদেশ কোচকে। মাহবুবুর রহমান সুফিল, নাবীব নেওয়াজ জীবন, বিপলু আহমেদ, তৌহিদুল আলম সবুজ, মতিন মিয়া, রবিউল ও জাফর ইকবালদের নিয়ে বেশ সময় আলাদাভাবে কাজ করেছেন তিনি।

লাওসের বিরুদ্ধে জয়ের পরও কম গোল হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছিলেন কোচ জেমি ডে। ওই ম্যাচে কম হলেও চার গোলে জেতা উচিত ছিল বাংলাদেশের। ফরোয়ার্ডদের ভুলগুলো কমিয়ে আনতেই এখন সুফিল-জীবনদের দিকে বাড়তি নজর এই ব্রিটিশের।

আরআই/এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।