বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনাল

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৪৪ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সাফ সুজুকি কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়ার পর ছুটিতে দেশে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ফুটবলের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরে আবার কাজে নেমে পড়েছেন জাতীয় দল নিয়ে। অনুশীলন শুরু করেছেন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের।

টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ গ্রুপে লাওস ও ফিলিপাইন। দুটি দেশই অনেক এগিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে। ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ যেখানে ১৯৩, সেখানে লাওস ১৭৯ ও ফিলিপাইন ১১৪। কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।

আগের চার আসরে বাংলাদেশ কেবল একবার ফাইনাল খেলতে পেরেছে। ২০১৫ সালে তৃতীয় আসরে ফাইনালে বাংলাদেশ ৩-২ গোলে হেরে যায় মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-২২ দলের কাছে। নতুন কোচের অধীনে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এশিয়ান গেমস ফুটবলের শেষ ষোলোতে খেলে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ঘরের মাঠের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্ব টপকাতে না পারলেও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে সেমিফাইনালে চোখ রেখেই প্রস্তুতি শুরু করেছে স্বাগতিক দল।

শনিবার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে গিয়ে জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে টুর্নামেন্ট নিয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন গণমাধ্যমের। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের লক্ষ্য, দল নির্বাচন, বিতর্কিত গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলকে না ডাকা, নতুন কিছু মুখের সংযোজন- সব বিষয় নিয়েই কথা বলেছেন এ ব্রিটিশ।

সাফ সুজুকি কাপের সেমিফাইনালে উঠতে না পারার পর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে গ্রুপ পর্ব পার হওয়ার কতটা সম্ভাবনা আছে? ‘গ্রুপ পর্ব পেরোনোটা সহজ হবে না। গ্রুপের দুটি দলই শক্তিশালী। ফিলিপাইনের কথা তো সাবাই জানি। লাওসের বিপক্ষে কিছুদিন আগে আমরা খেলেছি, ড্র হয়েছিল সে ম্যাচ। তারাও বেশ ভাল দল। দুই ম্যাচেই খেলোয়াড়দের তাই সেরাটা দিতে হবে’-বলেন জামাল ভূঁইয়াদের কোচ।

কোচ বলেছেন, ‘সাফ সুজুকি কাপ আর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের দলগুলোর দিকে তাকালেই পরিষ্কার কোন টুর্নামেন্ট কঠিন। তবে যে কোনো প্রতিযোগিতাই আমরা শুরু করি গ্রুপ পর্ব টপকানোর লক্ষ্য নিয়ে। গ্রুপে দুটি দল। তাই আমাদের একটি ম্যাচ জিততেই হবে। তাহলে জাগবে পরের রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা। সেমিফাইনাল উঠলে বড় কিছুর আশা আমরা করতেই পারি।’

এশিয়ান গেমসের পর হঠাৎ করে সোহেলকে দলভূক্ত করা, তার দুটি হাস্যকর গোলে প্রীতি ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে এবং সাফে নেপালের কাছে হারের পর এই গোলরক্ষক হয়ে উঠেন প্রধান আলোচনায়। তবে বাজে গোল খাওয়া কিংবা তুমুল সমালোচনার কারণে সোহেলকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের বাইরে রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন কোচ।

‘সোহেলের ভুল বা তাকে নিয়ে যে সমালোচনা হয়েছে সে জন্য বাদ দেওয়া হয়নি। আমার মনে হয়েছে সোহেলের বিশ্রাম প্রয়োজন। তা ছাড়া এর মধ্যে সে বাবা হয়েছে। এখন ফুটবল থেকে কিছুদিন বাইরে থাকলে নভেম্বরে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের সময় আরও ভালভাবে ফিরতে পারবে’-সোহেলকে বাদ দেয়া প্রসঙ্গে জেমি ডে।

দল নির্বাচন নিয়ে জেমি ডে’র পরিষ্কার কথা কেউ তাকে প্রভাবিত করেন না, ‘আমিই দল তৈরি করেছি। এখানে ম্যানেজার কিংবা আমার কোনো সহকারীরও প্রভাব নেই। দল করার দায়িত্বটা পুরোপুরি আমারই। হারলে দায়টাও আমার।’

দুইজন সিনিয়র খেলোয়াড় আরিফুল ও ইয়াসিনকে ক্যাম্পে ডেকেছেন কোচ। তাদের কিসের ভিত্তিতে ডাকা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে জেমি ডে বলেন, ‘এই সিনিয়র খেলোয়াড়দের আমার দেখা দরকার। আমার প্রিমিয়ার লিগ দেখা হয়নি। তাই যত বেশি সম্ভব আমার খেলোয়াড়দের দেখে নেয়া উচিত। এমন খেলোয়াড়দের ডেকেছি যাদের জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সপ্তাহখানে পরই পরিস্কার হবে দলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা তাদের কতুটুকু। যা করছি স্কোয়াডটাকে আরও শক্তিশালী করার জন্যই।’

নতুন মুখ জাবেদ খান সম্পর্কে কোচ বলেছেন, ‘আমি ওকে দেখিনি। তবে আমার কোচিং স্টাফরা তার কথা বলেছেন। আমি তাকে সরাসরি না দেখলেও ভিডিও দেখেছি। যাদেরকে ডেকেছি তাদের সবাইকে নিয়েই হোমওয়ার্ক করা হয়েছে আমার। তাদের খেলার ভিডিও ক্লিপস আমরা পর্যালোচনা করেছি।’

আরআই/আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।