ভারত-মালদ্বীপ শিরোপার লড়াই শনিবার
এমনিতে শুক্রবার নিরিবিলি থাকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এলাকা। শনিবার এ স্টেডিয়ামে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। ‘দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ’ হিসেবে পরিচিত এ টুর্নামেন্টের শিরোপা লড়াইয়ের আগের বিকেলেও একই আছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পরিবেশ।
যদি ফাইনালমঞ্চে বাংলাদেশ থাকতো? টিকিটের জন্য ঘুম হারাম হতো অনেকের। যেমনটি হয়েছিল এই টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে। ভুটান ও পাকিস্তানকে হারানোর পর বাংলাদেশ দল নিয়ে যখন প্রত্যাশার বেলুন ফুলতে থাকলো, তখনই তা চুপসে গেলো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নেপালের কাছে হেরে। বাংলাদেশের বিদায়ের পর দর্শকও হারিয়ে গেলো।
আগের ১১ আসরে ৭ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া ভারতের সামনে ফাইনালে মালদ্বীপ। ঢাকায় হওয়া আগের দুটি আসরের ফাইনাল খেলা দ্বীপ দেশটি ভারতকে কতটা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে, সেটাই দেখার। সন্ধ্যা ৭ টায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুরু হবে সাফ সুজুকি কাপের ফাইনাল।
ভারত এই টুর্নামেন্টে অনূর্ধ্ব-২৩ দল পাঠিয়েই স্বাচ্ছন্দে ফাইনালে। গ্রুপ পর্বে মালদ্বীপ ধুঁকলেও সেমিফাইনালে দাপুটে জয়েই তারা শিরোপার লড়াইয়ে। তবে এসব নিয়ে স্থানীয় দর্শকদের মাথাব্যথা নেই। যে কারণে, ফাইনাল নিয়ে তেমন আলোচনাও নেই স্টেডিয়াম পাড়ায়।
ঢাকায় এটি হবে ভারত-মালদ্বীপের দ্বিতীয় ফাইনাল। ২০০৯ সালেও তারা ফাইনাল খেলেছিল এ টুর্নামেন্টে। মালদ্বীপ ঢাকায় ফাইনাল খেলছে তৃতীয়বারের মতো। ২০০৩ সালে তারা ফাইনালে হেরে যায় বাংলাদেশের কাছে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ভারত ও মালদ্বীপের পার্থক্য অনেক। দুই দলের অতীত মুখোমুখিতে ভারতের জয়ে পাল্লা অনেক ভারি।
দুই দল আগে ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে। ভারত জিতেছে ৮টি, মালদ্বীপ ২টি। একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। আর ফিফা স্বীকৃত আন্তর্জাতিক ম্যাচে দুই দেশের আগের সাক্ষাত ১৮ বার। ভারত জিতেছে ১৩ বার। মালদ্বীপ ৩ বার, দুটি ম্যাচ ড্র।
আরআই/এমএমআর/পিআর
