পাকিস্তানের স্বপ্ন ভেঙে ফাইনালে ভারত
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। মাঠে উত্তেজনা না হলে কী জমে? যে কোনো খেলাতেই দুই দলের মুখোমুখিতে উত্তেজনার আগুন ঝরে। ব্যতিক্রম হয়নি বুধবার সাফ সুজুকি কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও। ভারত ৩-১ গোলে জিতে ফাইনালে উঠেছে। টেকনিক্যালি এগিয়ে থাকা দলটিই শেষ পর্যন্ত জয়ী। তবে পাকিস্তান ছেড়ে কথা বলেনি ভারতের সঙ্গে। উত্তেজনায় ঠাসাই ছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই।
ম্যাচের শেষ ৬ মিনিটে গোল হলো দুটি। হাতাহাতিতে দুটি লালকার্ডও হলো। ৮৫ মিনিটে ভারতের লালিয়ানজুলা ও পাকিস্তানের মহসনি আলী হাতাহাতিতে করে মাঠ ছাড়েন লালকার্ড দেখে। ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়া পাকিস্তান ব্যবধান ৩-১ করে ২০ জনের ম্যাচে পরিণত হওয়ার পর।
আগের দিন ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের ফেবারিট না বলা যে কৌশল ছিল ভারতের সহকারী কোচ ভেঙ্কটসের তা বুঝতে পেরেছিলেন অনেকে। ভারত মাঠে প্রমাণ করেছে, কেন তারা দক্ষিণ এশিয়ার এ টুর্নামেন্টে জাতীয় দল পাঠানো প্রয়োজন মনে করে না। বুধবার সাফ সুজুকি কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ১১তমবারের মতো ফাইনালে উঠলো ভারত।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে কখনো ফাইনাল খেলেনি পাকিস্তান। তাদের স্বপ্ন ছিল ঢাকায় প্রথমবারের মতো শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে উঠবে। আর এ স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তাদের ব্রাজিলিয়ান কোচ হোসে আন্তোনিও নোগেইরা। তিন বছর আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিষেধাজ্ঞা থাকা দলটি এশিয়ান গেমসে নেপালকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছিল। সাফের সেমিফাইনালে উঠে নিজেদের ফেবারিটের তালিকায়ও তুলেছিল পাকিস্তান; কিন্তু সেমিফাইনালে ভারতের সামনে পড়ে বিদায় নিতে হলো তাদের।
ভারত এগিয়ে যায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই। ৪৯ মিনিটে বাম দিক দিয়ে পাকিস্তান ডিফেন্ডারদের গতিতে পরাস্ত করে গোললাইনের কাছাকাছি গিয়ে ক্রস নেন আশিক কুরুনিয়ান। চলন্ত বলে প্লেসিংয়ে গোল করেন মানবীর সিং।
৬৯ মিনিটে মানবীর সিংয়ের গোলেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ভারত। ভিনতি রায়ের পাস ধরে একটু সামনে এগিয়ে বল জালে পাঠান এ ফরোয়ার্ড। টুর্নামেন্টে মানবীর সিংয়ের এটি তৃতীয় গোল।
৮৪ মিনিটে ভারতের তৃতীয় গোল করেন বদলি ফরোয়ার্ড সুমিত পাশি। বাম দিক থেকে আশিক কুরুনিয়ানের ক্রসে সুমিত হেডে গোল করেন। ৮৮ মিনিটে ব্যবধান কমান পাকিস্তানের হাসান বশির। বক্সের বাইরে থেকে আচমকা শটে গোল করেন এ ফরোয়ার্ড।
দক্ষিণ এশিয়ার এই টুর্নামেন্ট শুরুর পর ভারত একবার ফাইনালে ছিল না। ২০০৩ সালে ঢাকায় ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ-মালদ্বীপ। বাকি সব আসরের ফাইনালে ছিল ভারত।
দিনের প্রথম সেমিফাইনালে নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে মালদ্বীপ। শনিবার ভারত-মালদ্বীপ মুখোমুখি হবে শিরোপার লড়াইয়ে। ২০০৯ সালেও ঢাকায় ফাইনাল খেলেছিল ভারত-মালদ্বীপ।
আরআই/আইএইচএস/জেআইএম