‘দর্শক মাঠে আসতে শুরু করেছিল’
আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ের পর অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেলো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের। আলোচনার বিষয়বস্তু সেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই ব্যর্থতা। দেশের সর্বকালের সেরা ফুটবলার, দক্ষ কোচ-ফুটবল মাঠের কোনো কিছুই তার চোখ এড়ানোর নয়। অনেক কিছু বুঝেও তাকে নীরবে সইতে হয়। তিনি যে অভিভাবক।
কাজী মো. সালাউদ্দিনের একটা শঙ্কা দর্শক ধরে রাখা নিয়ে। নীলফামারীতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ এবং বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দর্শক ঢল দেখে অভিভূত হয়েছেন তিনি। অবাক হয়েছেন মালদ্বীপ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচেও ৮/৯ হাজার দর্শক আসায়। সবই জাতীয় দলের ভালো রেজাল্টে।
‘দল ভালো ফলাফল করলে দর্শক আসবে। এটা আমি আগেও বলেছি। আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছিলাম, দর্শক মাঠে ফিরিয়ে আনতে পেরে। দর্শক মাঠে আসতে শুরু করেছিল। এটা দেশের ফুটবলের বড় এক দিক। কিন্তু হঠাৎ সব এলোমেলো’-বলছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি।
এই হারের নেতিবাচক প্রভাব বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে দর্শকদের মধ্যে পড়বে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘পড়তেও পারে। মানুষ জয় দেখতে পছন্দ করে। তবে আমাদের দায়িত্ব হলো এটা কাটিয়ে তোলা। একটি হার, একটি টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়া মানেই কিন্তু সব শেষ হয়ে যাওয়া নয়। জার্মানিও তো বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। তার অর্থ এই নয় যে, জার্মানির ফুটবল শেষ হয়ে গেছে।’
এমএমআর/এমএস