এবার হিমালয়ে ধাক্কা খেলো বাংলাদেশের ফুটবল
প্রায় দুই বছর আগের সেই তারিখটি মনে আছে? ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর। সেনি থিম্পুতে এশিয়ান কাপের প্রাক-বাছাই ম্যাচে ভুটানের কাছে ৩-১ গোলে হেরে আন্তর্জাতিক ফুটবল সিডিউলের বাইরে ছিটকে পড়েছিল বাংলাদেশ। পাহাড়ী বিছাদের হুলে বিদ্ধ হওয়ায় বাংলাদেশের ফুটবলে জাত গেলো... জাত গেলো... স্লোগানও উঠেছিল। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভুটানের কাছে হারের সেই খত শুকিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল যখন কোমর সোজা করে দাঁড়ানো শুরু করলো তখনই এলো আরেক ধাক্কা।
পাহাড়ী দেশ ভুটানের পর নেপাল। হিমালয়ের দেশে ধাক্কা খেয়ে বাংলাদেশের ফুটবলের কোমরটা না আবার ভেঙ্গে যায়! এশিয়ান গেমসে ইতিহাস গড়লো যুবারা। ফিফা র্যাংকিংয়ে প্রায় ১০০ ধাপ এগিয়ে থাকা কাতারকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শেষ ষোলোতে। যুবাদের সঙ্গে সিনিয়রযোগে এলোমেলো হলো বাংলাদেশের ফুটবল। দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবার সাউথ এশিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব ফিরিয়ে আনার স্বপ্নটা ধুলিসাৎ করলেন ফুটবলাররা।
যে গোল খেয়েছে শহিদুল আলম সোহেল, তা ক্ষমার অযোগ্য। পোলাপানেও এমন বল ধরতে পারেন। যদি বলি সোহেলের দোষ কী? নিশ্চয়ই তিনি জোর করে মাঠে নামেননি। যারা টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে জড়িত, যারা কোচ তাদের বিবেচনা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে। এশিয়ান গেমসে সাফল্য পাওয়া গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে বাইরে রেখে সোহেলকে নেয়া হলো একাদশে। যে সোহেলে ক্যাম্পেই ছিলেন না। সোহেলকে বলির পাঁঠা না বানিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছেই জবাবদিহিতা চাওয়া উচিত বাফুফের।
বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছিল ৩৫ মিনিটে। ম্যাচের তখনো প্রায় ৬০ মিনিট বাকি। সোহেল না হয় নিজের ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছে। কিন্তু বাকিরা কী করলেন? মরণ কামড় দিয়ে যেখানে গোল ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা থাকার কথা সেখানে বাংলাদেশই ম্যাচ থেকে পিছিয়ে পড়তে থাকে।
এশিয়ান গেমসে শেষ ষোলোতে ওঠা মানে এশিয়ার সেরা ১৬ লের মধ্যে বাংলাশে। সেই বাংলাদেশ কিনা এখন ক্ষিণ এশিয়ার তলানিতে। এ নিয়ে টানা চারটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ থেকেই বিায় নিলো বাংলাদেশ। এমন ফলাফলের ৩ সপ্তাহ পর হবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। দর্শকরা ওই টুর্নামেন্ট নিয়ে কতটা আগ্রহ দেখাবে সেটাই দেখার বিষয়।
আরআই/আইএইচএস/আরএস