টিকিটের জন্য হাহাকার, ৫ গুণ দামেও পরিপূর্ণ স্টেডিয়াম!
নেপালের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ম্যাচ সন্ধ্যা ৭টায়। কিন্তু দুপুর ১টার পর থেকেই দর্শকদের আনাগোনা শুরু হয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকায়। সময় গড়ানোর সাথে ভিড়ও বাড়তে থাকে দেশের ফুটবলের প্রধান এ ভেন্যুতে। সবারই এক আকুতি ‘একটা টিকিট চাই-ই চাই।’
সাফ সুজুকি কাপে সাধারণ দর্শকের জন্য টিকিট ছিল প্রতিদিন ৭ হাজারের মতো। ২৫ হাজারের বাকি সব সৌজন্য। যে কারণে টুর্নামেন্ট শুরুর দিন থেকেই বেশি চাহিদা ছিল টিকিটের। ভুটান ও পাকিস্তানকে হারানো পর বাংলাদেশের সমর্থকদের আগ্রহ আরো বেড়ে গেছে। তাই টিকিট এখন সোনার হরিণ।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ১৫ নম্বর গেট দিয়ে মিডিয়া বক্সে ঢোকার সময় এক ঝাঁক দর্শকের জিজ্ঞাসা ‘ভাই, টিকিট কোথায় বিক্রি হচ্ছে।’ তখনো বাংলাদেশের ম্যাচ শুরু হতে ৫ ঘণ্টা বাকি। কিন্তু টিকিটের সমাধান দেয়া সম্ভব হয়নি কারো পক্ষে। দর্শকরা স্টেডিয়ামের টিকিট কাউন্টারগুলোতে গিয়ে বন্ধ পেয়েছে। স্টেডিয়ামের যে দুই ফটকে টিকিট বিক্রি করেছে বাফুফের কর্মচারীরা তারা নেই। তাদের কাছে বিক্রির জন্য দেয়া সীমিত টিকিট যে ফুরিয়ে গেছে সূর্য পূর্ব আকাশে থাকতেই।
টিকিট না পাওয়া দর্শকরা হন্যে হয়ে ঘুরছিলেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এলাকায়। এই স্টেডিয়ামে টিকিটি কালোবাজারী নতুন নয়। এমন মোক্ষম সুযোগও তারা হাতছাড়া করেনি। লুকিয়ে রাখা টিকিট থেকে ২/১টি করে হাতে নিয়ে দাম হাকাচ্ছেন ১০০ টাকা করে। ২০ টাকার টিকিট ১০০। কেউ কেউ বেশিও হাকাচ্ছেন। কারো হাতে টিকিট দেখলেই তাকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে দর্শক জটলা।
বাংলাদেশ ও নেপালের খেলায় টিকিটের চাহিদা যে বাড়বে তার আভাস মিলছিল আগের দিন মালদ্বীপ-শ্রীলংকা ম্যাচেই। বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য মূল্যহীন ম্যাচ। তারপরও স্টেডিয়ামের পশ্চিম গ্যালারি প্রায় ভরিয়ে দিয়েছিল দর্শকরা। ভিআইপি ও পূর্ব-উত্তর গ্যালারি মিলে ৭/৮ হাজার দর্শক ছিল ভীনদেশি দুই দলের ম্যাচেই।
এ প্রতিবেদন তৈরির সময় বাংলাদেশ-নেপালের ম্যাচ শুরু হতে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বাকি। তখনই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পশ্চিম গ্যালারি দর্শকে টইটুম্বুর। স্টেডিয়ামের বাইরে ঢু মেরে দেখা গেলো ঢোকার অপেক্ষ কয়েক হাজার। গ্যালরিতে আরেকটি দর্শক ঢেউ উঠবে তা বোঝা গেলো মানুষের টিকিটের জন্য হাহাকার দেখে।
আরআই/এসএএস/আরআইপি