নাটকীয় জয়ে সাফ শুরু পাকিস্তানের

রফিকুল ইসলাম
রফিকুল ইসলাম রফিকুল ইসলাম , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:৩১ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

তাহলে কী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানের লাকী ভেন্যু ঢাকা? বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এ নিয়ে তৃতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। তিনবারই উদ্বোধনী ম্যাচে ছিল পাকিস্তান। এর মধ্যে দুইবারই তাদের শুরু জয় দিয়ে। মঙ্গলবার শুরু হওয়া দ্বাদশ সাফ সুজুকি কাপ ফুটবলের উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তান নাটকীয় জয় পেয়েছে নেপালের বিরুদ্ধে। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে পাকিস্তান ম্যাচ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।

২০০৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তান চমক দেখিয়েছিল ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে। তবে ২০০৯ সালের আসরে তারা ১-০ গোলে হেরেছিল শ্রীলংকার কাছে। এবার নেপালকে হারিয়ে দারুণভাবে দক্ষিণ এশিয়ার টুর্নামেন্ট শুরু করলো তিন বছরের মতো ফুটবলের বাইরে থাকা দেশটি।

এই তো গত মাসে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমস ফুটবলে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল। মাত্র ১৬ দিনের ব্যবধানে তারা আবারও নেপালকে একই ব্যবধানে হারালো ব্রাজিলিয়ান কোচ হোর্হে নগেইরার শিষ্যরা। দুর্দান্ত এ জয়ে পকিস্তান শুরুতেই ভালো একটা অবস্থান করে নিলো গ্রæপে।

৩৫ মিনিটে পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। ডান দিক থেকে ভেসে আসা ক্রসে বক্সে হেড নেয়ার চেষ্টা করেন পাকিস্তানের মুহাম্মদ রিয়াজ। এ সময়ে তাকে ফেলে দেন নেপালের অধিনায়ক বিরাজ মাহারজন। জর্ডানের রেফারি মোহাম্মদ হাসান পেনাল্টির বাঁশি বাজালে গোল করেন হাসান নাভীদ বশির।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই লড়াইয়ের একটা ঝাঁজ তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে নেপাল ম্যাচটা ধরে প্রাধান্য নিয়েই পাকিস্তানের সীমানায় ঢোকার চেষ্টা করে। বল পজিশনে তারা এগিয়ে থাকলেও পাকিস্তানীদের কাছে ফিজিক্যালি পিছিয়ে থাকে। বিশেষ করে দুই দিক থেকে নেপালিদের নেয়া ক্রসগুলো অনায়াসে ঠেকিয়ে দেন পাকিস্তানের ফুটবলাররা।

ধারার বিপরীতেই পাকিস্তান ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ পেয়েছিল ৭৫ মিনিটে। পাল্টা আক্রমন থেকে বদলি খেলোয়াড় সাদউল্লাহ বল পেয়ে যান মাঝবৃত্তে নিজেদের অর্ধে। একজনকে কাটিয়ে তিনি দ্রæত গতিতে কয়েকগজ সামনে গিয়ে প্রায় ৩৫ গজ দুর থেকে পোস্টে শট নেন গোলরকক্ষক একটু এগিয়ে আসায়। দুর্ভাগ্য তার বল গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে।

৮২ মিনিটে নেপাল ম্যাচে ফেরে বিমল ঘারতি মাগারের দর্শণীয় গোলে। ডান প্রান্ত থেকে নেয়া কর্নার সতীর্থ খেলোয়াড়ের মাথা হয়ে বিমলের সামনে আসতেই বা পায়ের প্লেসিংয়ে কাঁপিয়ে দেন পাকিস্তানের জাল।

৮৮ মিনিটে মোহাম্মদ আলীর শট ধরেন নেপালের গোলরক্ষক। পরের মিনিটে পরপর দুটি সুযোগ আসে নেপালের সামনে। কিন্তু সুনিল বল আর সুজাল শেরেস্তার পরপর দুটি শট দুর্দান্তভাবে রুখ দেন পাকিস্তানের গোলরক্ষক ইজাজ বাট।

পাকিস্তান নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জেতে ইনজুরি সময়ের গোলে শেষ বাঁশি বাজার মিনিট খানেক আগে। যখন ধরেই নেয়া হয়েছিল ড্র হচ্ছে দুই দলের খেলা। তখনই নাটকীয় গোল করে পাকিস্তান। মোহাম্মদ আদিলের ক্রস সাদউল্লাহর মাথা হয়ে মোহাম্মদ আলীর সামনে গেলে তিনি কোনো ভুল করেননি। বল-মাথার নিখুত সংযোগে করেন জয়সূচক গোল।

আরআই/এসএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।