এখনও পগবার আশায় পথ চেয়ে বার্সেলোনা

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৩৯ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৮

বিশ্বকাপের সময় থেকেই গুঞ্জনের ঢাল-পালা গজাতে শুরু করে, ম্যানচেস্টার ইউনাটেড ছেড়ে দিতে চান ফরাসি বিশ্বকাপ বিজয়ী বীর পল পগবা। ম্যানইউ কোচ হোসে মরিনহোর সঙ্গে তার সম্পর্ক মোটেও ভালো যাচ্ছে না। সে কারণে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড তার জন্য বিষিয়ে উঠেছে। কোথায় যাবেন? সেটাও এক প্রকার নিশ্চিত প্রায়। লিওনেল মেসির দল বার্সেলোনা কিনে নিতে চায় পগবাকে। গুঞ্জন উঠেছিল, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে জুভেন্টাসেও জুটি বাধতে পারেন তিনি।

কিন্তু এখনও কোনো কিছু নিশ্চিত নয়। ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ম্যানইউর সঙ্গে পগবার চুক্তি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটিও তাকে ছাড়তে নারাজ। এমনকি পগবার হাতেই নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড বেধে নতুন মৌসুম শুরু করে দিয়েছে ম্যানইউ। তারা জোর দিয়ে বলেছে, পগবাকে ছাড়বে না।

কিন্তু বার্সেলোনা এখনও আশা ছাড়েনি পগবার। ক্লাবটির চেয়ারম্যান হোসে মারিয়া বার্তেম্যু তার বিষয়ে ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক কোনো মন্তব্যই করেননি। পল পগবাকে কেনার চেষ্টার বিষয়টাও অস্বীকার করেননি। অর্থ্যাৎ, বার্সেলোনা যে এখনও পগবার পথ চেয়ে রয়েছে এটা এখনও দিবালোকের মত্য সত্য। বার্সা ভিত্তিক দৈনিক মুন্ডো দেপোর্তিভো জানিয়েছে, ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হওয়ার শেষদিন পর্যন্ত পগবার জন্য অপেক্ষা করবে বার্সা কর্তৃপক্ষ।

পগবার এজেন্ট মিনো রাইয়োলার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বার্সা। কারণ, তারা খুবই মরিয়া হয়ে রয়েছে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ বিজয়ী এই ফুটবলারকে দলে নিতে। স্প্যানিশ টিভি স্টেশন টিভিইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বার্তেম্যু বলেন, ‘আমি কখনোই নির্দিষ্ট করে কারো নাম বলিনি। অবশ্যই এখানে অন্য ক্লাবগুলোর প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে। তবে সত্য হলো, ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হওয়ার আর মাত্র ২০ দিন বাকি। তবে আমি বলছি না, এই সময়ের মধ্যে তাকে (পগবা) নিয়ে আসা সম্ভব না।’

পগবাকে নিয়ে বার্তেম্যু আরও বলেন, ‘এই খেলোয়াড় (পগবা) এখন রয়েছেন তার দলে এবং একটি প্রতিযোগিতা ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন। তবে এখনও ২০দিন বাকি। আমরা এখনও দেখার চেষ্টা করছি কোন খেলোয়াড় দল ছেড়ে যায় এবং কোন খেলোয়াড় দলে আসে, সেটা।’

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।