ভুটান জয়ের প্রস্তুতি মারিয়া-মনিকাদের
দক্ষিণ এশিয়ার সেরার জার্সি গায়ে চাপিয়েই ভুটান গেছে কিশোরী ফুটবলাররা। তাদের লক্ষ্য পাহাড়ি দেশটি জয় করে আসা। মাত্র ৮ মাস আগে ঢাকার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ট মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ বালিকা ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে বাংলাদেশের কিশোরীরা হারিয়েছিল ভারতকে। এখন সেই শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে ভুটান গেছে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। বৃহস্পতিবার থিম্পুতে শুরু হবে ৬ জাতির এ টুর্নামেন্ট।
ঘরের মাঠে জেতা শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু হবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। দুই দেশ সিনিয়র পর্যায়ে একাধিকবার মুখোমুখি হলেও কিশোরীদের দেখা এবারই প্রথম।
দক্ষিণ এশিয়ায় নারী ফুটবলে জাতীয় দল পর্যায়ে ভারতের মোটামুটি একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও বয়সভিত্তিক ফুটবলে বাংলাদেশ আশার আলো জ্বালিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে মারিয়া মান্ডাদের উপর আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গেছে দেশের মানুষের। মঙ্গলবার অনুশীলন শেষে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেছেন, ‘সব দলই চ্যাম্পিয়ন হতে ভুটান এসেছে। তবে আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে শিরোপা ধরে রাখা সম্ভব।’
মারিয়াদের নিয়ে কোচের ভয় ছিল, ভুটানের আবহাওয়া। থিম্পুতে বেশ ঠান্ডা। তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। থেমে থেমে বৃষ্টিও হচ্ছে। এর মধ্যে মানিয়েও নিয়েছেন মনিকা, তহুরারা। চালিংমিথাং স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার দুপুরে ঘন্টা দেড়েক অনুশীলনও করেছে লাল-সবুজ কিশোরীরা।
বাংলাদেশ দল
মাহমুদা আখতার, রুপনা চাকমা, রুপা আক্তার, আঁখি খাতুন, আনাই মগিনি, নাজমা, নিলুফা ইয়াসমিন নীলা, ইলামনি, শাহেদা আক্তার রিপা, আনুচিং মগিনি, রেহানা আক্তার, মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা, লাবনী আক্তার, তহুরা খাতুন, মুন্নী আক্তার, শামসুন্নাহার, সোহাগী কিসকু, ঋতুপর্ণা, সাজেদা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, রোজিনা, নওসুন।
আরআই/এমএমআর/এমএস