তুরিনে গিয়ে ‘রাজ প্রাসাদে’ উঠলেন রোনালদো

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৮

রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ৯ বছরের সম্পর্ক চুকেবুকে দিয়ে আগামী মৌসুম শুরুর আগেই ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে নাম লেখান ৫ বারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এবার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ থেকে নিজের আবাসটাও সরিয়ে আনলেন তিনি। তুরিনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানটিতে ডুপ্লেক্স রাজ প্রাসাদে গিয়ে উঠলেন বর্তমান সময়ে ফুটবলের রাজপুত্র। সঙ্গে তার বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ এবং চার সন্তান।

রিয়াল মাদ্রিদে বসেই উত্তর ইতালিয়ান শহর তুরিনে নিজের থাকার বাড়িটি পছন্দ করেছিলেন রোনালদো। রাজপ্রাসাদের মতো বাড়িটির নিরাপত্তা পরিচালনা করবে টেলিসিকিউরিটি। রোববার সকালেই নিজের ব্যক্তিগত বিমানে করে এসে তুরিন বিমান বন্দরে নামেন রোনালদো। সেখান থেকে সোজা চলে যান নিজের নতুন ঠিকানায়। যেখানে তিনি থাকবেন হয়তো আগামী কয়েকটি মৌসুম।

ইতালির লা গ্যাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ট জানিয়েছে, রোনালদো নিজেই চেয়েছিলেন এমন একটি বাড়ি, যেটা সবচেয়ে আধুনিক স্থাপনা এবং খোলামেলা পরিবেশের হয়। যে বাড়িটা দেখলে তার মাদ্রিদে থাকাকালীন সময়টার কথাই মনে করিয়ে দেবে।

Ronaldo

মূলতঃ রোনালদোর বাড়ির অবস্থানটা এমন হয় যেন, একটা নয় সেখানো দুটো বাড়ি রয়েছে। মাদ্রিদে থাকাকালীনও ছিল এমন এবং তুরিনেও প্রায় একই ধরনের একটি বাড়ি পছন্দ করে নিয়েছেন তিনি। যেখানে পাশাপাশি দুটি বাড়ি রয়েছে এবং দুটি বাড়িরই প্রবেশপথ ভিন্ন ভিন্ন। রয়েছে বিশাল বাগান, সুইমিংপুল এবং জিমনেশিয়াম।

তুরিনে রোনালদোর বাড়িটি ছোট্ট একটি টিলার ওপর অবস্থিত। যেটা আবার সবুজ বাগানে আচ্ছাদিত। যেন বাড়িটিকে আড়াল করে রেখেছে পুরো বাগানটি। সবচেয়ে বড় কথা পাপারাজ্জিদের হাত থেকেও রোনালদোকে বাঁচিয়ে দেবে এই বাগান। না হয় কোন সময় কে কোন ছবি তুলে বসে থাকবে, তার কোনো ইয়ত্তা আছে!

রোনালদোর ডুপ্লেক্স বাড়িটির সামনের অংশ খুবই আকর্ষণীয়। পেছনের অংশের পাশ ঘেঁষে বয়ে চলেছে একটি নদী। তুরিনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থানে অবস্থিত রোনালদোর বাড়িটি। যেটা আবার পর্যটকদের কাছেও খুব প্রিয়। রয়েছে দ্য গ্রেট মাদার চার্চ। রোনালদো এবং তার পরিবারের প্রতিবেশি হচ্ছেন বিখ্যাত ব্যবসায়ী জন এলকান। যিনি অটোমোটিভ কোম্পানি ফিয়াট ক্রিসলার অটোমোবাইলসের প্রেসিডেন্ট।

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।