ফুটবল ক্লাবের পৃষ্ঠপোষকতায় অ্যাথলেটিকস

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:২৯ পিএম, ২৫ জুলাই ২০১৮

ঢাকা সিটি এফসি। পুরো নাম ঢাকা সিটি ফুটবল ক্লাব লিমিটেড। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অপরিচিত একটি ক্লাব। ঘরোয়া ফুটবলের কোনো পর্যায়ে অংশও নেয়নি। নতুন এ ক্লাবটির আত্মপ্রকাশ অনেকটা ব্যতিক্রমী ভাবে। অ্যাথলেটিকসে পৃষ্ঠপোষকতার মধ্যে দিয়ে বুধবার নিজেদের আগমনী বার্তা জানান দিলো এ ফুটবল ক্লাবটি।

নিজেরা এখনো প্রতিষ্ঠিত না হলেও দেশের একটি প্রতিষ্ঠিত ফেডারেশনকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ক্লাবটি। শুক্রবার ও শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য চতুর্দশ জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকস হতে যাচ্ছে এই ক্লাবটির পৃষ্ঠপোষকতায়। ফেডারেশন ও ক্লাবটি কর্মকর্তারা এই পৃষ্ঠপোষকতাকে ব্যতিক্রমই বললেন। আসলেই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সভা কক্ষে সামার অ্যাথলেটিকস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সভাপতি এ এস এম আলী কবীর শুরুতেই তাই ধন্যবাদ দিলেন ঢাকা সিটি ফুটবল ক্লাবের দুই কর্মকর্তা উপদেষ্টা কিতাব আলী ও সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দোহা খানকে।

প্রথম নামটি ক্রীড়াঙ্গনে খুবই পরিচিত। কিতাব আলী সাবেক অ্যাথলেট, কোচ এবং ফেডারেশনের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। মূলতঃ ঢাকা সিটি এফসি’র সামার অ্যাথলেটিকসে পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসার প্রধান সমন্বয়ক তিনি।

সব পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাই সংবাদ সম্মেলনে ওই খেলাকে ভালোবেসে উন্নয়নের জন্য এগিয়ে এসেছেন বলে থাকেন। প্রচার পাওয়ার আসল উদ্দেশ্যটা রাখেন মনে মনে। তবে ঢাকা সিটি এফসির কর্মকর্তারা নিজেদের উদ্দেশ্য লুকাননি। ক্লাবটির উপদেষ্টা কিতাব আলী বলেছেন, ‘আমরা মূলতঃ ফুটবলের উন্নয়নে বিগ বাজেট নিয়ে কাজ শুরু করেছি। নিজেদের একটু প্রচার পেতেই অ্যাথলেটিকসে বেছে নিয়েছি।’

athelet

এক দল ব্যবসায়ী মিলেই এই ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাদের দাবি, তারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অনুমোদনও নিয়েছেন। ক্লাবটি প্রফেশনাল ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে (বিএসএল) খেলার আবেদনও করেছে বাফুফেতে।

ক্লাবটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে খিলক্ষেতের নামাপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায়। তবে রাজধানী ঢাকার আশপাশেই ১০ একরের বেশি জায়গা কেনা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন উদ্যোগক্তরা। ‘আমরা যে জায়গা নিচ্ছি, সেখানে স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে। সেখানেই আমাদের একাডেমি চালু করা হবে। জায়গার বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত না হওয়ায় এখন স্থানের নাম প্রকাশ করছি না। বুঝেনই তো কখন কে এসে আবার ঝামেলা পাকায়!’-সংবাদ সম্মেলনের পর জাগো নিউজকে বলছিলেন ঢাকা সিটি ফুটবল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দোহা খান।

ক্লাবটির উপদেষ্টা কিতাব আলী বলেছেন, ‘আমাদের এ ক্লাব প্রতিষ্ঠার প্রধান লক্ষ্য তৃণমূল থেকে প্রতিভা ছেঁকে বের করে ঢাকায় নিয়ে আসা। যাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশের ফুটবলারের ঘাটতি পূরণ করতে চাই। দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের জন্য আমরা ইউক্রেন থেকে ২ জন কোচ আনার চেষ্টা করছি। ৬৪ জেলা থেকে ৭০০ থেকে ৭৫০ জন প্রতিভাবান ফুটবলার বাছাই করে তাদের দীর্ঘ মেয়াদি প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আমাদের একাডেমির ফুটবলারদের বয়স হবে সর্বোচ্চ ১৮ বছর।’

রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা ক্রোয়েশিয়াকে উদাহরণ হিসেবে টেনে কিতাব আলী বলেন, ‘তারা যদি এত ছোট দেশ হয়ে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারবো না? আমাদের চেষ্টা করতে হবে। যদিও কাজটি অনেক কঠিন।’

আরআই/এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।