তুরস্কে ওজিলের নামে রাস্তার নামকরণ
বিশ্বকাপের আগেই বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছিল মেসুত ওজিল আর ইলকায় গুন্ডোগানের নাম। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোয়ানকে জার্সি উপহার দেয়ার ছবি প্রকাশ হওয়ার পরই জার্মানি জুড়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের প্রভাব পড়েছিল বিশ্বকাপেও। যার দরুন প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে।
জার্মানির বিদায়ের পর বিতর্ক আরও বেশি মাথাছাড়া দিয়ে ওঠে। একের পর এক সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে থাকেন তুর্কি বংশোদ্ভূত ফুটবলার মেসুত ওজিল। যে কারণে, ক্ষোভে-দুঃখে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফুটবলকেই বিদায় বলে দিলেন ওজিল। তার বিদায় বলে দেয়া নিয়ে বিতর্কের ঢেউ জার্মানি ছেড়ে আছড়ে পড়েছে পুরো ফুটবল বিশ্বে। ওজিলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে জার্মানি ফুটবল ফেডারেশনও।
তবে, এই ঘটনায় পুরোপুরি ওজিলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। সেখানে তারা ওজিলের নামে একটি রাস্তার নামকরণই শুধু করেনি, সেখানে এমনভাবে দুটি সাইনবোর্ড টানিয়েছে, যা ওজিলের প্রতি বর্ণবাদী আচরনের নীরব প্রতিবাদও বটে।
মেসুত ওজিলের বাবা মোস্তফা ওজিলের জন্মস্থান তুরস্ক। বাবার দেশ হিসেবে তুরস্কের প্রতি সব সময়ই একটা আলাদা টান রয়েছে মেসুত ওজিলের। তুরস্কে ওজিলদের বাড়িটাও রয়েছে এখনও। যে কারণে, বিশ্বকাপের আগে নিজের শেকড়ের দেশে গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্টকে নিজের ক্লাবের একটি জার্সি উপহার দেন ওজিল। ইলকায় গুন্ডোগানও ছিলেন সঙ্গে। বিতর্ক মাথাছাড়া দিয়ে ওঠে তখন থেকেই।
কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী উত্তর তুরস্কের জঙ্গুলডাক প্রদেশে দেবেরিক জেলায় অবস্থিত মেসুত ওজিলের বাবার বাড়ি। সেখানেই একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে মেসুত ওজিল স্ট্রিট নামে। যে রাস্তাটি ওজিলের বাবার জন্মভিটার দিকে চলে গিয়েছে।
সেই রাস্তায় আগেই বসানো হয়েছিল একটি বিলবোর্ড। যেখানে ছিল জার্মানি জাতীয় দলের জার্সি পরা ওজিলের একটি ছবি। এবার ওজিল যখন জার্মান জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন, সঙ্গে সঙ্গে তুরস্কের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওজিলের জার্সি পরা আগের ছবিটি নামিয়ে ফেলে। সেখানে ঠাঁই পেয়েছে এখন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের হাতে ওজিলের জার্সি তুলে দেয়ার ছবিযুক্ত একটি বিলবোর্ড। আগের বিলবোর্ডটি নামিয়ে রাখা হয়েছে নিচে।
ওই শহরের মেয়র মোস্তফা সেমের্সি জানিয়েছেন, আগের ছবিযুক্ত বিলবোর্ডটি রাখার আর কোনো প্রয়োজন নেই। ওজিল এখন আর জার্মান জাতীয় দলের কেউ নন। তিনি তুর্কি। তুরস্ক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তোলা ছবিটাই সেখানেই ঠাঁই পাবে।
আইএইচএস/এমএস