ফাইনালে ঘন ঘন সমর্থক অদলবদল
পছন্দের দল আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল নেই তাতে কী। বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল বলে কথা। আর তাই দিনের বেলা বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে তেমন উত্তেজনা না থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন পাড়ামহল্লায় উঠতি তরুণরা বড় পর্দায় ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়ার ফাইনাল খেলা দেখার আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে সমাপনী অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ব্যান্ড দল ইএক্সও বিশ্বকাপের বিদায়ী সংগীত গাওয়ার সময় বড় পর্দার সামনে দর্শকের উপস্থিতি কম থাকলেও খেলা শুরু হতেই না হতে ভিড় বাড়তে থাকে।
আজিমপুর, লালবাগ ও নিউমার্কেটের সামনে দেখা গেছে, ফাইনাল খেলায় উপস্থিত দর্শকরা ফ্রান্স বা ক্রোয়েশিয়া কোনো দলেরই কট্টর সমর্থক না। একবার যে দর্শক ফ্রান্সের এমবাপ্পে কিংবা গ্রিজম্যানের পায়ে বল এলে চিৎকার করে সমর্থন জানাচ্ছিল আবার সেই দর্শককে কিছুক্ষণ পর ক্রোয়েশিয়া দলের মডরিচ, রাকিতিচ ও মানজুকিচের পায়ে বল দেখে চিৎকার করতে দেখা যায়।
বিশেষ করে গ্রিজমিনের ফ্রি কিকে ক্রোয়েশিয়ার মানজুকিচের মাথায় লেগে আত্মঘাতী গোল হওয়ার পর ফান্সের সমর্থন করতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে ইভান পেরেসিচ গোল পরিশোধ করলে দর্শককে উল্লাস করতে দেখা যায়।
আজিমপুর নতুন পল্টন লাইনে বড় পর্দায় খেলা দেখছিলেন রাসেল, বাপ্পী, রায়হান, সুমন নামে কয়েক বন্ধু। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, বিশ্বকাপ ফুটবলে বরাবরই বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের পছন্দের দল আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। এ দুটি দল বাদ দিয়ে কিছু মানুষ অন্যান্য দল যেমন ইংল্যান্ড, জার্মানি, বেলজিয়াম, কোস্টারিকা, স্পেন ও কমম্বিয়ার সমর্থন করে। সে হিসেবে আজ তারা কেউ ফ্রান্স আবার কেউবা ক্রোয়েশিয়ার সমর্থন করছেন।
সুমন নামের একজন বলেন, তিনি চান বিশ্বকাপ শিরোপা প্রথমবারের মতো ক্রোয়েশিয়ার ঘরেই যাক। তবে ফ্রান্স কাপ পেলেও দুঃখ পাবেন না। কারণ তার প্রিয় দল আর্জেন্টিনা আগেইবিদায় নিয়েছে।
এমইউ/জেডএ/জেআইএম