রাশিয়া বিশ্বকাপকে সর্বকালের সেরা বললেন ইনফান্তিনো
ঠিক ৮ বছর আগে ২০১৮ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে রাশিয়ার নাম ঘোষণা করে ফিফা। তার পর থেকে বিশ্বকাপ শুরু পর্যন্ত আয়োজক নিয়ে সমালোচনা শুনে কান ঝালাপালা হতে থাকে ফিফা কর্মকর্তাদের। ব্রিটিশ ও পশ্চিমা মিডয়ার সেই সমালোচনা এখন বন্ধ। কারণ, বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা আয়োজকের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে রাশিয়া।
বিশ্বকাপ ফাইনালের ঠিক দুই দিন আগে শুক্রকার ফিফা প্রেসিডেন্ট আয়োজন করেছিলেন সংবাদ সম্মেলনের। সেখানেই সূচনা বক্তব্যে তিনি রাশিয়ার সব ব্যবস্থাপনার প্রশংসায় ছিলেন পঞ্চমুখ। ‘আমি দেশটির সরকার ও মানুষকে শুরুতেই ধন্যবাদ দিতে চাই। অসাধারণ এক বিশ্বকাপ উপহার দিয়েছে তারা। কয়েক বছর আগে থেকেই আমি বলে আসছিলাম, রাশিয়া বিশ্বকাপ অতীতের সব ভালোকে ছাড়িয়ে যাবে। আজ আমি বলতে পারি, এই বিশ্বকাপ সর্বকালের সেরা’-বলেছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট।
বিশ্বকাপের মতো এত বড় ইভেন্ট সফল করতে যারা কঠিন পরিশ্রম করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ফিফা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আমি সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। কি আয়োজক হিসেবে, কি অংশগ্রহনকারী দল হিসেবে-যারা গত একমাস পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ফুটবলারদের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ। আসলে তারাই তো আসল নায়ক। তারাই তো মাঠের নৈপুণ্য দিয়ে মানুষকে খুশি করাতে পারেন।’
কেন সেরা? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার প্রধান। কয়েকটি পয়েন্ট তিনি টুকে নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন। কারণ তিনি জানতেন, ভালো বললে তার ব্যাখ্যাও দিতে হবে। হাতের পাশে রাখা নোট দেখে ইনফান্তিনো বললেন, ‘এই বিশ্বকাপ দেখতে ১ মিলিয়নের বেশি দর্শক বিভিন্ন দেশ থেকে রাশিয়া এসেছেন। ৯৮ ভাগ ম্যাচে স্টেডিয়ামপূর্ণ দর্শক ছিল। ৩ বিলিয়নের বেশি মানুষ টিভিতে খেলা দেখেছেন। ফিফার ডিজিটাল চ্যানেল ১১ বিলিয়নের বেশিবার দেখা হয়েছে। ফিফা ফ্যানফেস্টে খেলা দেখেছেন ৭ মিলিয়নেরও বেশি দর্শক।’
ফিফা প্রেসিডন্টে মনে করেন, এই বিশ্বকাপ রাশিয়ার ফুটবলকেও বদলে দেবে। তারা আয়োজক হিসেবে যেমন ভালো করেছে, তেমন দল হিসেবেও। ইনফান্তিনো বলেন, ‘ফিফার কাজ পেছন থেকে কাজ করা, আমরা সেটা করি। আসল কাজ তো করেছে রাশিয়া। তারা বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে যে অবকাঠামো তৈরি করেছে, তা ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই। তাদের ফুটবল মানসিকতারও অনেক পরিবর্তন এসেছে।’
ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রসঙ্গে ফিফা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘এ পদ্ধতিতে অসাধারণ সফলতা পেয়েছি। এটাকে আমরা ফুটবলের বিশাল ইতিবাচক দিক হিসেবেই দেখছি। আমরা যদি মাঠের পারফরম্যান্সের দিকে তাকাই, তাহলে বলবো একটি ম্যাচ মাত্র গোলশূণ্য ছিল।’
আরআই/এমএমআর/পিআর