ফাইনালে ওঠা একটা মিরাকল : ক্রোয়েশিয়ার নায়ক মানজুকিচ
ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলে এমন দিন আর আসেনি। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে তারা, সেটাও আবার ইংল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে! বুধবার রাতে সেমিফাইনালে উত্তেজনাকর এক ম্যাচে থ্রি লায়ন্সদের ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে ক্রোয়েটরা। ম্যাচের ১০৯ মিনিটে গোল করে নায়ক বনে যাওয়া মারিও মানজুকিচের চোখে যেটি এক কথায় 'মিরাকল'।
অথচ ম্যাচের ৫ মিনিটেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল ক্রোয়েশিয়া। ৬৮তম মিনিটে এসে তারা গোল শোধ করলেও নির্ধারিত সময় ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলেই ড্র থাকে। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এই অতিরিক্ত সময়েই অসাধারণ এক গোল করেন মানজুকিচ। তাতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠার স্বপ্নপূরণ ক্রোয়েটদের।
ঘুরে দাঁড়িয়ে এমন এক জয়, মানজুকিচের চোখে যেটি এক মিরাকল (অলৌকিক ঘটনা)। ক্রোয়েশিয়ার এই জয়ের নায়ক ম্যাচশেষে বলছিলেন, 'এটা একটা মিরাকল। শুধু বড় দলগুলোই এমন সাহসিকতার সঙ্গে খেলতে পারে। ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও। আমরা পুরো টুর্নামেন্টটিই আমাদের হৃদয় দিয়ে খেলেছি।'
মানজুকিচ ম্যাচে নিজের পারফরম্যান্স নিয়েও ভীষণ খুশি। দ্বিতীয় রাউন্ডে ডেনমার্ক এবং কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে শ্বাসরুদ্ধকর দুটি জয় নিয়ে সেমিতে উঠে ক্রোয়েশিয়া। কঠিন সেই ম্যাচ দুটোর চাপের কথাও ভুলতে পারেননি মানজুকিচ। ক্রোয়েট ফরোয়ার্ড বলেন, 'সব ম্যাচে আমার পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি। আমি দলের জন্যই এখানে এসেছি, এই ম্যাচগুলো আমার ভালো লাগার। ডেনমার্ক এবং রাশিয়ার বিপক্ষে আমরা খুব চাপে ছিলাম। তবে আজ সবাই দেখেছেন, আমরা কি করেছি।'
ক্রোয়েশিয়া দলের কোচ জ্লাতকো দালিচ অবশ্য ইংলিশদের বিপক্ষে জয়কে 'মিরাকল' বলতে রাজি নন। তিনি শুধু বললেন, দলের এই জয়ে গর্ববোধ করছেন, 'দেশ হিসেবে ক্রোয়েশিয়ার জন্য এটি ইতিহাস। আমি গর্বিত।'
এমএমআর/আরআইপি