জীবনে একবারই এমন সুযোগ আসবে : ডি ব্রুয়েন
বিশ্বকাপের বিদায় ঘন্টা বাজতে আর মাত্র ৪টি ম্যাচ বাকি। প্রথম সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনাকে বিদায় করা একবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ সাফল্য পাওয়া ব্রাজিলকে হারানো বেলজিয়ামের। এমন ম্যাচ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুয়েন।
সেমিতে নামার আগে এ ম্যাচ নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ডি ব্রুয়েন। তিনি বলেন, ‘এটা এমন একটি ম্যাচ যেটার জন্য দলের সবাই স্বপ্ন দেখেছে। ম্যাচটি খুব উত্তেজনাপূর্ণ হবে এবং আশা করছি আমরা ফাইনালে যেতে পারবো। ভাবাটা হয়তো উদ্ধত হতেও পারে কিন্তু আগামীকাল যে জিতবে আমার মতে, সেই বিশ্বকাপ জিততে যাচ্ছে।’
বেলজিয়াম তাদের ফুটবল ইতিহাসে ১৯৮৬ সালে সর্বশেষ সেমিফাইনালে খেলেছিল। তাই এমন সুযোগ বারবার আসে না বলেও মত দেন ডি ব্রুয়েন। ‘বিশ্বকাপ আপনাকে প্রত্যেকদিন এমন সুযোগ করে দিবে না। যদি আপনি খুব ভাগ্যবান হন তাহলে জীবনে দুই কিংবা তিনবার এমন সুযোগ পেতে পারেন। আমি তেমন চাপ অনুভব করছি না। কিন্তু আমি খুব উত্তেজিত এমন বিশেষ ম্যাচটি খেলার জন্য।’
ফ্রান্সের বিপক্ষে নামার আগে কোচ রবার্তো মার্টিনেজের প্রশংসাও ঝড়ে তার কণ্ঠে। ‘আমাদের দলটি একসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে খেলে আসছে। কিন্তু কোচ বিশ্বাস করতো আমরা জয় ছিনিয়ে আনতে পারবো। আমরা সবাই তাকে আশ্বস্ত করেছি যে, আমরা কিছু অর্জন করতে পারবো।’
বেলজিয়ামের প্রত্যেকটি ম্যাচেই মিডফিল্ডে দারুণ ভূমিকা রেখে দলকে জয় এনে দিয়েছেন ডি ব্রুয়েন। দলের এমন পারফরম্যান্স সম্পর্কে এই ম্যান সিটি তারকা বলেন, ‘বেলজিয়ামের খেলোয়াড়দের দেশের বাইরে ফুটবল খেলাটা কিছুটা সাহায্য করছে আমাদের। এখন আমরা বেশ অভিজ্ঞ।’
একেক ম্যাচে ডি ব্রুয়েনের রোল একেক রকম। কোন ম্যাচে দেখা যায় তাকে ডিফেন্স ঠিক রাখতে আবার কোন ম্যাচে দেখা যায় গোল করতে, এসিস্ট করতে। নিজের রোল সম্পর্কে ডি ব্রুয়েন বলেন, ‘একেক ম্যাচে আমার রোল একেক রকম। তবে সাধারণত আমি ম্যাচে বিল্ড আপ করা, গোল করা, গোলে সহায়তা করা এগুলোই আমার কাজ। কিন্তু সবকিছুই কোচের উপর নির্ভরশীল। সে আমাকে যেভাবে খেলাতে চাইবে আমিও সেভাবে খেলব।’
আরআর/পিআর